Naya Diganta

দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা

ভয়াবহ বন্যায় স্তব্ধ হয়ে গেছিল আরব আমিরাতের দুবাই শহর। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল বিমানবন্দর। শুক্রবার তা আংশিকভাবে খোলা হয়েছে।

এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কি-না, মনে করতে পারছে না দুবাই। আচমকাই মরুশহরে শুরু হয় বৃষ্টি। সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ে শহরের ভেতর। ভেসে যায় গাড়ি। রাস্তাঘাট পানি থইথই। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় দুবাই। বন্ধ করে দিতে হয় বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবারও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখনো পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা আছে।

শুক্রবার সকালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখনো বহু রাস্তা বন্ধ। কোনো কোনো রাস্তা আংশিকভাবে খোলা হয়েছে। দুবাই থেকে রাজধানী আবু ধাবি যাওয়ার রাস্তাও আংশিকভাবে খোলা হয়েছে।’

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘মঙ্গল এবং বুধবার মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৪৪টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। ৪১টি বিমান ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। যে বিমানগুলো নেমেছে তার পাইলটেরা জানিয়েছে, ‘রানওয়ের উপরেও পানি ছিল। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর পুরোপুরি খোলা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।’

এ দিকে, বিমান বাতিল হওয়ায় বহু যাত্রী বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, বিমানবন্দর থেকে ফেরাও সম্ভব হয়নি। গোটা রাস্তাই পানির নিচে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দেখে নিতে হবে বিমান বাতিল হয়েছে কি-না। কারণ এত মানুষকে বিমানবন্দরে থাকতে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

বৃহস্পতিবার বিকেলেও দেখা যায়, ‘কমপক্ষে ২০০টি বিমান সময়ের পরে ছাড়বে অথবা তাদের বাতিল করা হয়েছে।’

অ্যামিরেটসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘তাদের অধিকাংশ বিমানই সময়ে ছাড়তে পারছে না।’

বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে অবশ্য রাস্তাঘাট থেকে ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করেছে। স্কুলগুলো আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে।

বহু মানুষ জানিয়েছেন, ‘শপিং মলে এবং বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে।’

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে দুবাইয়ে।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে