Naya Diganta

পুঠিয়ায় বৃদ্ধার বস্তাবন্দি লাশের রহস্য উন্মোচন : পুত্রবধূ ও নাতনি গ্রেফতার

রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার বানেশ্বরে কবরস্থান থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি বৃদ্ধার লাশের রহস্য উন্মোচন করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। ঘটনার শিকার হয়েছেন বেদেনা বেওয়া (৬০)। পুত্রবধূর সাথে পারিবারিক কলহের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেদেনা বেওয়ার পুত্রবধূ কনিকা খাতুন (২৯) ও নাতনি কথা খাতুনকে (১৪) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজের পেছনে থান্দারপাড়া গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কাটা চিহ্ন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। এছাড়াও মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল। পরে নিখোঁজ বেদেনা বেওয়ার পরিবার তার লাশ শনাক্ত করে। লাশ উদ্ধারের পর ওইদিন রাতে তার ছেলে রিপন আলী পুঠিয়া থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুঠিয়া থানা পুলিশ ও পিবিআই রাজশাহী জেলার একটি টিম মামলা গ্রহণের একদিন পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নিহত বেদেনা বেওয়ার পুত্রবধূ কনিকা খাতুন ও নাতনি কথা খাতুনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, বেদেনা বেওয়ার সাথে তার ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী কনিকার সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় বেদেনা বেওয়া নিজের মতো চলতেন। গত বুধবার (১০ এপ্রিল) বেদেনার পুত্রবধূ কনিকা সন্ধ্যায় ইফতারের সময় শরবতে সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কথা খাতুনের মাধ্যমে বেদেনাকে খাইয়ে দেয়। শরবত খাওয়ার পর বেদেনা বেওয়া ঘুমিয়ে পড়েন। তখন কনিকা তার এক সহযোগির মাধ্যমে বেদেনা বেওয়ার দুই হাত খাটের সাথে ওড়না দিয়ে বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে বেদেনার লাশ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের কবরস্থানে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অপর সহযোগিকে আটকের চেষ্টা চলছ। তার পরিচয় জানা গেছে। তবে কৌশলগত কারণে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।