Naya Diganta

আরো ৪৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আরো ৪৬ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সাথে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছে দেশটির সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে এসব বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশারতলী ও চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তারা সবাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন। এ নিয়ে গত এক মাসে সদর ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে মোট ২৬০ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না হলে চলতি মাসেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে বিজিবি সূত্রে জানা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বর সাবের আহাম্মদ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে, মঙ্গলবার রাতে আনুমানিক ৪৫ থেকে ৪৬ জনের মতো মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সাথে বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।