Naya Diganta

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র-ইইউর


ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরাইলও প্রতিশোধ নেয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরাইল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সপ্তাহান্তে ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি ‘আগামী দিনগুলোতে’ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্য দিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরাইল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির সাথে যুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করেছে। সোমবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনসুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এ হামলা চালায়। যদিও বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরাইল দাবি করেছে, তার পরও উত্তেজনার আরো বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান।