Naya Diganta

গ্রাহকের তথ্য চুরিতে ব্যবহার হচ্ছে এআই

গ্রাহকের তথ্য চুরিতে ব্যবহার হচ্ছে এআই

২০২৩ সাল জুড়েই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরিষেবার ‘সিফাস’ সদস্যরা। গ্রাহকের তথ্য চুরির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন নতুন উপায় খুঁজছে অপরাধীরা, যেখানে জীবনমানের খরচ বৃদ্ধির বিষয়টিও প্রভাব রেখেছে বলে দাবি করছে এক জালিয়াতি প্রতিরোধী এই সংগঠন।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচয় চুরির ঘটনাও বাড়তে দেখেছে সেবাটি, যার মধ্যে রয়েছে ফিশিং জালিয়াতি, ডিপফেক ছবি, ভিডিও ও অডিও তৈরির মতো ঘটনা। সেবাটির জালিয়াতি-বিষয়ক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত বছর সামগ্রিকভাবে সিফাসের ‘ন্যাশনাল ফ্রড ডেটাবেইজে (এনএফডি) এ ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে ৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি। সিফাস বলেছে, তাদের সদস্যরা ২২৪ কোটি ডলারের জালিয়াতি ঠেকিয়েছে।

এর মধ্যে পরিচয় চুরি বা ‘আইডেন্টিটি থেফট’-এর অভিযোগই এসেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে এমন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে ২ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি।
সিফাসের তথ্য অনুসারে, জীবনমানের খরচ বৃদ্ধির চাপ সামলাতে নিজেদের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দক্ষতা বাড়িয়েছে অপরাধীরা। পরিচয় চুরির জন্য অপরাধীদের মূল লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
সিফাসের সিইও মাইক হেইলি বলেন, গ্রাহকদের শিকার বানাতে বিভিন্ন নতুন ও পরিশীলিত উপায় খুঁজে দেখছে অপরাধীরা। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এআই ও ডিপফেক প্রযুক্তি। ডেটা শেয়ারিং ও জালিয়াতি ঠেকানোর মতো বুদ্ধিমত্তা ও টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা এমন ঘটনা ঠেকাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সিফাসের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্যাংকিং, আর্থিক, বীমা, টেলিযোগাযোগ ও বিপণন খাতের সাত শতাধিক কোম্পানি।