Naya Diganta
কনসুলেটে ইসরাইলের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন জাতিসঙ্ঘ

কনসুলেটে ইসরাইলের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে ইসরাইল, এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান। এ ছাড়া হামলার শঙ্কার কারণে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। রয়টার্স ও আলজাজিরা।
এ দিকে সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটে মারাত্মক হামলার জন্য দায়ী ইসরাইলের সামরিক কর্মী ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ১৯৭১ সালের একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী চুক্তির অধীনে ‘অপরাধী’ সাব্যস্ত হতে পারেন বলে মত দিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের আইন বিশেষজ্ঞরা। ইসরাইলের হামলা সনদের ধারা ২(৪) এর অধীনে অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। অবৈধ বল প্রয়োগ শুধু ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধেই নয়, সিরিয়ার ভূখণ্ডের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে জাতিসঙ্ঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ প্রধান সোমবার বলেছেন, ইসরাইল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং এ বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। যদিও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ইরানের স্থাপনাগুলোতে পরিদর্শনের কাজ আবারো শুরু হয়েছে। সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনসুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনসুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশির ভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়। নজিরবিহীন সেই হামলার পর ইসরাইলের সামরিক প্রধান সোমবার বলেছেন, তার দেশ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান অবশ্য বলেছেন, ইসরাইলের পাল্টা যেকোনো আক্রমণকে ‘শক্তিশালী’ ও ‘বিস্তৃত’ জবাব দিয়ে মোকাবেলা করা হবে।
এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ইরান ‘নিরাপত্তা বিবেচনায়’ রোববার তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং সোমবার সেগুলো আবার চালু হলেও ‘যতক্ষণ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হচ্ছে’, ততক্ষণ তিনি আইএইএ পরিদর্শকদের সেখান থেকে দূরে রেখেছেন। গ্রোসি নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার আবারো এটি শুরু করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের পরিদর্শন কার্যকলাপের ওপর প্রভাব ফেলেনি।’
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গ্রোসি বলেন, ‘আমরা সবসময় এ হামলার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ এ পরিস্থিতিতে তিনি ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।