Naya Diganta
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব

রংপুরে বোরো ধান চাষের কলাকৌশল নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব

জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র-বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধানের পরিচিতি এবং বোরো ধানের আন্তঃপরিচর্যা চাষাবাদ কলাকৌশল ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হলো রংপুরে।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী রংপুরের বিনা উপকেন্দ্রের হলরুমে আয়োজিত প্রশিক্ষণে ৭০ জন কৃষকসহ শতাধিক কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কৃষকদের হাতেকলমে উন্নত জাতের ধান পরিচিতি এবং তা চাষাবাদের কলাকৌশল শিক্ষা দেয়া হয়। যাতে কম খরচে অধিক ফলন নিশ্চিত করা যায়।
পরমাণু কৌশলের মাধ্যমে চরাঞ্চল, হাওর, পাহাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় উন্নত জাতের ফসলের অভিযোজন প্রকল্প-বিসিসিটিএফ-এর অর্থায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিসিটিএফ প্রকল্প পরিচালক ও বিনা ২৫ জাতের ধানের গবেষক ড. সাকিনা খানম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (নীতি-১ শাখা) মোহাম্মদ ইয়ামিন খান, রংপুর বিএডিসির বীজ বিপণনের উপ-পরিচালক মাসুদ সুলতান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষক এনামুল হক, বিনা-রংপুর উপকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ চাষাবাদে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার কৃষক আব্দুল হাকিম, রংপুরের কাউনিয়ার বিশ্বনাথের চরের সেলিনা বেগম, মহানগরীর তাজহাট এলাকার দিলরুবা বেগম, গঙ্গাচড়ার খাজা মিয়া ও সদরের সুজন আলী।
বিসিসিটিএফ প্রকল্প পরিচালক ড. সাকিনা খানম জানান, প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষকরা গ্রামে সবার কাছে নিজেরাই প্রশিক্ষক হিসেবে উন্নত জাতের ধান আবাদের মাধ্যমে ফলন বাড়াতে অন্যান্য কৃষককে সম্পৃক্ত করবে। তারা প্রতারিত হবেন না। দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহযোগিতা করবে। পরে তিনি বিনা-২৫ জাতের ধানের প্রদর্শনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।