Naya Diganta

বসুন্ধরার বাধা হতে পারেনি রহমতগঞ্জ

গোলের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা : বাফুফে

নিকট অতীতে একবারই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলেছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। তা ২০১৯-২০ সিজনে। সে ম্যাচে তাদের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়েছিল বসুন্ধরা কিংসের কাছে ১-২ গোলে হেরে। কাল ফের এবিজি বসুন্ধরা ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্বে বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি পুরান ঢাকার দলটি। এবারের লড়াই ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। গোপালগঞ্জের শেখ মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচেও অবশ্য পেরে উঠেনি তারা। প্রায় সমান তালে লড়লেও ম্যাচের শেষ হাসি অস্কার ব্রুজনের দলের। ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে রবসন রবিনহোরা এখন সেমিতে। আসরের অপর দুই কোয়ার্টার ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশ ও শেখ জামাল এবং ৩০ এপ্রিল ঢাকা আবাহনী ও ফর্টিস এফসির মধ্যে। উল্লেখ্য, মোহামেডান আরো আগেই সেমিতে খেলা নিশ্চিত করেছে।
কাল এই ম্যাচে দেশ সেরা ক্লাবের দুই গোলদাতা নাইজেরিয়ান এমফন সানডে এবং সোহেল রানা। তবে এই দুই গোলের জোগানদাতা ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। ২৪ মিনিটে তার পাস থেকে দলকে এগিয়ে নেন বড় সোহেল রানা। বাম পায়ের জোরালো শটে গোল করেন তিনি। ৬৩ মিনিটে স্কোর দ্বিগুণ তথা রহমতগঞ্জের সেমিতে উঠার আশা গুঁড়িয়ে দেন এমফন উদহ সানডে। রবিনহোর পাস থেকে আগুয়ান গোলরক্ষক মামুন আলিফের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান এই মিডফিল্ডার। ম্যাচে রহমতগঞ্জ বেশ কয়েকটি চান্স পেয়েছিল। তবে বিপক্ষ কিপার মেহেদী হাসান শ্রাবনের দৃঢ়তা এবং নিজেদের গাম্বিয়ান দাউদা সিসে ও ঘানার স্যামুয়েল কোনির মিসই তাদের গোল থেকে বঞ্চিত করে। কোনির শটটি অবশ্য দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন দেশের ফুটবলের উঠতি এবং দারুণ সম্ভাবনাময় গোলরক্ষক শ্রাবণ। বসুন্ধরা কিংসও তাদের গোল সংখ্যা দ্বিগুণ করতে পারেনি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ডরিয়েলটন গোমেজের মিসের জন্য। রহমতগঞ্জের কিপার মামুন আলিফও ছিলেন বাধা।
ম্যাচের শেষ সময়ে বসুন্ধরা কিংসের পোস্ট অক্ষত রাখেন শ্রাবণ। তার বাধায় আটকে যায় স্যামুয়েল কোনের শট।