Naya Diganta

ইসরাইলকে সহায়তা করায় জর্দানে বিক্ষোভ

ইসরাইলকে সহায়তা করায় বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জর্দানের বাসিন্দারা। এক বিবৃতিতে জর্দান সরকার জানিয়েছে, ‘আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কারণ এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল।’ কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্দানের নাগরিকরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন।
হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্দান যেভাবে ইসরাইলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত।’ বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। তিনি জানান, ‘এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরাইলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যেকোনো পদক্ষেপের সাথে আমরা আছি।’
মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘জর্দানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্দানের বাধা দেয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।’ জর্দানের রানীসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত।
আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনো ইসরাইলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্দানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে।’ কারণ ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জর্দান সহায়তা করেছে বলে ইসরাইলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, ‘এটি ইসরাইলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়।’