Naya Diganta

ফরিদপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার যে কারণ জানা গেলো

অতিরিক্ত গতি, মহাসড়কের নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে এসে গাড়ি চালানো পাশাপাশি এবড়োখেবড়ো মহাসড়কের কারণেই ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ সময় সাংবাদিকদের নিকট সাক্ষাৎকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটির-ই অতিরিক্ত গতি ছিল এবং পিকআপ চালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসে। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলো কি-না, পিকআপ চালকের লাইসেন্স ছিল কি-না তা জানা যায়নি।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি ওভার গতিতে ছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।’

দিগনগরে দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়ি শেখ লিমন বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে কিছু বিট মানে গর্ত আছে। রাস্তাও এবড়োথেবড়ো। ঈদের আগে ২২-২৩টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দিকে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন। এছাড়া নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিহতদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে পাঁচ লাখ এবং গুরুতর আহতদের তিন লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে। তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগরে বাস ও পিকআপের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত ৬ জন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।