Naya Diganta

বাঘার পদ্মায় নিখোঁজ ২ শিশু, ২০ ঘণ্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার

বাঘার পদ্মায় নিখোঁজ ২ শিশু, ২০ ঘণ্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে ২০ ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জান্নাত খাতুন (৮) নামে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্যজন। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা নদীর মানিকচর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু জান্নাত (৮) ও ঝিলিক খাতুন (১২) নিখোঁজ হয়।

এর মধ্যে জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মণ্ডলের মেয়ে। আর ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। তারা ফুপাতো-মামাতো বোন।

ওই দুই শিশুর স্বজনেরা জানান, মানিকচর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ের সাথে নূর মোহাম্মদের ছেলের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সপরিবারে তারা কুষ্টিয়া থেকে ঈদের পর দিন বাঘা উপজেলায় বেড়াতে আসেন। দাওয়াত খেয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পদ্মা নদীর তীরে বাড়ি হওয়ায় ওই দুই শিশু গোসল করতে নামে। কিন্তু নদীতে নেমেই তারা নিখোঁজ হয়।

পরে স্বজনেরা খুঁজে না পেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনভর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল নিখোঁজ শিশুদের খুজে পেতে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখে। পরে তাদের সন্ধান না পেয়ে রাতে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এর পরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে একটু দূরেই জান্নাত নামে এক শিশুর লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেন। এ সময় নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান গণমাধ্যমকে জানান, যেখানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গম চর এলাকা। নিখোঁজ হওয়ার পর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শিশু দুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। সোমবার এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর শিশুকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, সকালে জান্নাত নামের এক শিশুর লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। আইন প্রক্রিয়া শেষে শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।