Naya Diganta

তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গাবাসীর ঈদ আনন্দে ভাটা

তাপপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গাবাসীর ঈদ আনন্দে ভাটা

ঈদের তৃতীয় দিন আজ। এখনো মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ বিরাজ করছে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাবাসীর ঈদ আনন্দে বাধ সেধেছে তীব্র গরম।

চুয়াডাঙ্গায় শনিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এপ্রিলের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যদিও মাঝে দুদিন তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে আসে।

টানা এই তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দাবদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।

একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে সব শ্রেণির মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদরের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এত তাপ সহ্য করা কঠিন। ঈদে একটু ঘোরাঘুরি করব, এত রোদে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’

একই গ্রামের আকরাম আলী বলেন, ‘ঈদের দুদিন হয়ে গেল। এখন দোকান খুলব, কিন্তু এত তাপে দোকানে বসা অসম্ভব ব্যাপার। শিগগিরই বৃষ্টি হলে আবহাওয়া সহনীয় হতো।’

চুয়াডাঙ্গা শহরে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালান কুদ্দুস মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঈদের ঘোরাঘুরি থাকলেও মানুষজন বাইরে আসছে না। তাই ভাড়াও হচ্ছে না, দুপুর হয়ে গেছে এখনো তেমন ভাড়া হয়নি। ভাড়া পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘এপ্রিলের শুরু থেকেই মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ চলেছে। মাঝে কয়েক দিন আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে আসলেও আবার মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। আজ চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্বাভাসে নেই।’ সূত্র : ইউএনবি