Naya Diganta

বিস্ফোরণের মুখে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তের বাসিন্দারা

২ সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্স

মঙ্গলবার বিস্ফোরণের শব্দ এবং একটি সশস্ত্র সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী যখন জানায় যে তারা কাছাকাছি অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে, তারপর মিয়ানমারের একটি বাণিজ্য কেন্দ্রের বাসিন্দারা সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ কথা জানায়।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) যোদ্ধারা শনিবার জানিয়েছে, তারা মায়াওয়াদি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে। তারা আরো জানায়, সেখানে ছয় শতাধিক সেনা সদস্য, পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছে।

মঙ্গলবার এএফপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানায়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘কিছু মানুষ বিশেষ করে যারা থানার আশেপাশে অবস্থান করছিল, তারা এরই মধ্যে পালিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আকাশে বিমান ওড়ার শব্দ শুনেছি।’

তারা জানায়, কেএনইউ যোদ্ধারা শহরের ভেতরে ছিল বলে মনে হচ্ছে না।

তারা আরো জানায়, সীমান্তের ঠিক ওপারে মায়াওয়াদ্দিকে থাই শহর মায়ে সোতের সাথে সংযোগকারী একটি সেতু এখনো খোলা রয়েছে।

মিয়ানমারের মোবাইল ফোন পরিষেবা কাজ করছে না জানিয়ে তারা বলেন, বাসিন্দারা থাই সিম কার্ড ব্যবহার করছে।

থিংগানিনাং ঘাঁটিতে আত্মসমর্পণের বিষয়ে কেএনইউর দাবির বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধ করা হলে জান্তা সাড়া দেয়নি।

এ বিষয়ে কেএনইউয়ের মন্তব্য জানতে চেয়েছে এএফপি।

থিংগানিনাউংয়ের এক বাসিন্দা জানান, আগের সংঘর্ষগুলোর পর কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। তিনি এখন থাই সীমান্তের আশ্রয় নিয়েছেন।

অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইডিপির অনেকে এখন থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী নদীর কাছাকাছি অবস্থান করছে।’

মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এক লাখ মানুষকে তার দেশ গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

২০২১ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের দুই হাজার ৪০০ কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা