Naya Diganta

৭ দিন বন্ধ থাকছে দর্শনা রেলবন্দর, ১১ দিন ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস

৭ দিন বন্ধ থাকছে দর্শনা রেলবন্দর, ১১ দিন ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস

সাত দিন বন্ধ থাকছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা রেলবন্দরের আমদানিসহ সকল কার্যক্রম ও ১১ দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা-কোলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন।

আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা সাত দিন ছুটির কবলে দর্শনা রেলবন্দ ও আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন।

এ সময় এই বন্দর দিয়ে সকলপ্রকার আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে একটানা সাত দিন দর্শনা রেলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি কর্মদিবস থাকলেও বন্দরের আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কতৃপক্ষ।

আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে রেলবন্দরে যথারীতি আমদানি ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু হবে। এছাড়া ঈদের সময় ভারতগামী যাত্রীদের খুব একটা চাপ না থাকায় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী আন্তর্জান্তিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১১ দিন বন্ধ রাখার যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত রেলওয়ে বিভাগ।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের (দর্শন রেলইয়ার্ড) অভ্যন্তরে ভারতের যে খালি ওয়াগনগুলো রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগেই পর্যায়ক্রমে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। কারণ ওয়াগনের জন্য ভারতকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয়।

দর্শনা চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রেলবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। এমনকি ঈদের দিনও চালু থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেয়েছি, তবে সবার একসাথে ছুটি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত চালু রাখার স্বার্থে কিছু জনবল চেকপোস্টে থাকবে।

কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৮ এপ্রিল সোমবার থেকে দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। আসছে ঈদুল ফিতর, তার পর পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন বন্ধ থাকবে সকল প্রকার বন্দরের কার্যক্রম।

এছাড়া ঢাকা-কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ১১ দিন বন্ধ থাকবে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল যথারীতি চালু থাকবে। ছুটি শেষে আবারো ১৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় আমদানি কার্যক্রম শুরু হবে।