Naya Diganta

ধূমপায়ীর সংখ্যা কমাতে সিগেরেটের দাম ও কর হার বাড়ানোর পরামর্শ

দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ কার্যকরের দাবি জানিয়েছে দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় এ দাবি জানান সমিতির প্রতিনিধি ইকবাল আনোয়ার।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিগারেটকে বিদায় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন বাস্তবতায় নিম্নস্তরের সিগারেটের ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সরকারের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদেশী ভালো মানের ব্র্যান্ডের সিগারেট দাম ও কর হার বাড়িয়ে এবং শুধুমাত্র মধ্যমস্তরে উৎপাদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়।

দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির দৃঢ় বিশ্বাস উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়িত হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ শলাকা বিক্রয় করে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ খাতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।

বর্তমানে নিম্নস্তরের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বিদেশী কোম্পানির অতি উচ্চ ও ভালো ব্র্যান্ডের সিগারেট প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করে আছে। ফলে ধূমপায়ীর সংখ্যা হ্রাসের সম্ভবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট প্রস্তুতকারক সমিতির প্রস্তাব, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবং ধূমপায়ীর সংখ্যা কমিয়ে এনে সিগারেটকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাজার থেকে বিদায় করার জন্য এদের দাম ও কর হার বাড়িয়ে মধ্যমস্তরে উৎপাদন এবং নিম্নস্তরের বর্তমান দাম ও কর হার অপরিবর্তিত রাখা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআই যৌথভাবে এই পরামর্শক কমিটির সভা আয়োজন করে।