Naya Diganta
চি ঠি প ত্র

নিরাপত্তা বিধান করা হোক

চি ঠি প ত্র

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের আতঙ্ক কাটছে না। মিয়ানমারের রাখাইনে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও দেশটির জান্তাবাহিনীর মধ্যে চলছে ব্যাপক সংঘর্ষ। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের সীমান্ত আজ অরক্ষিত। এলাকার বাসিন্দারা ঘরছাড়া। বিমান, মর্টার শেলের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। মংডু শহরের উত্তরে খুমির খালী, নাফপুরা, বলিবাজার, নাইডাচং, কোয়াচি ডং, শিলখালী কোয়ারি, পেরাংপ্রু এলাকায় এসে পড়েছে রকেট লাঞ্চার, তুমনু ঘুমধুম এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ। মর্টার শেলের আঘাতে ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান বাংলাদেশের এক কৃষক। সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসে লাশ। আরাকান আর্মি এবং জান্তাবাহিনীর অব্যাহত লড়াইয়ে নাইক্ষ্যং ছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলি এলাকায় মর্টার শেলসহ গোলাবারুদ এসে পড়ে। এই সব ঘটনার খবর সংবাদপত্র এবং চ্যানেলগুলোর সংবাদে বিস্তর প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ওই এলাকার শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসী। নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। কৃষকরা ক্ষেতে কৃষিকাজ করতে পারছেন না। ক’দিন পরপর স্কুলগুলো বন্ধ করে দিতে হয় যার ফলে কোমলমতি শিশুদের পড়াশোনায় বিঘœ ঘটছে।
বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাকে নিরাপদ করা হোক। এই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা বিধান করা হোক। হ
আমিনুল হক
নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।