তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচন : ইস্তাম্বুল ও আংকারায় বিরোধীদের জয়ের দাবি
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫
তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আংকারায় জয়ের দাবি করেছে। এটি দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের জন্য বড় ধরনের আঘাত বিবেচিত হচ্ছে। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে জয়ের দাবি করেছে বলে রাষ্ট্রীয়-পরিচালিত আনাদুলু বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
ইস্তাম্বুলে ৯৫ ভাগের বেশি ভোট গণনার পর বর্তমান মেয়র সিএইচপি পার্টির একরেম ইমামুগ্লু জানান, তিনি এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীর চেয়ে ১০ লাখের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
সাবেক এই ব্যবসায়ী রোববার রাতে তার হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে বলেন, 'যারা জাতির এই বার্তা বোঝে না, তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যায়।'
তিনি বলেন, 'আজ রাতে ইস্তাম্বুলের ১৬ মিলিয়ন নাগরিক আমাদের উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রেসিডেন্টকে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।'
রাজধানী আংকারায় সিএইচপি মেয়র মনসুর ইয়াভাস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে জয়ের দাবি করে বলেন, এটি হলো সুস্পষ্ট বার্তা যে কারা এই দেশ শাসন করবে।
তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইজমিরেও সিএইচপি এগিয়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রীয়-পরিচালিত আনাদুলু জানিয়েছে, সিএইচপি তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে জয়ী হয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বেলকনি থেকে এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, তার দলের ভুল হয়েছে। তবে তারা ভুলগুলো শুধরে নেবেন এবং ঘাটতিগুলো পূরণ করবেন।
ভোটের আগে এরদোগান বলেছিলেন, 'এবারের নির্বাচন আমাদের দেশের নতুন যুগের সূচনা করবে।'
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামুগ্লু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোগান ও তার দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোগানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোগানের জন্য বড় আঘাত বিবেচিত হতে পারে। তিনি এই নগরীতে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠেন। ১৯৯০-এর দশকে এখানেই তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি এখানে জয়ের আশা করেছিলেন।
তুরস্কের প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটার রোববার ৮১টি প্রদেশের মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদ, এবং আরো বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য অংশ নেয়।
এই জয়ের ফলে ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামুগ্লু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা