Naya Diganta

এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

শেষ বলে দরকার ছিল ১৭ রানের। কিন্তু পারল না দিল্লি। বৃহস্পতিবার আইপিএল ম্যাচে ত্রিস্তানের দুরন্ত ইনিংস সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১২ রানে হারিয়ে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিলেন আবেশ খান। এভাবেই পর পর দুই ম্যাচে জিতে গেলেন অশ্বিনরা। আর জোড়া হারের মুখে পড়তে হলো ওয়ার্নারদের।

টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের। মুকেশ কুমারের দুরন্ত বল স্টাম্প ছিটকে দেয় যশস্বী জওসওয়ালের। বেশিক্ষণ টেকেননি সঞ্জু স্যামসন (১৫) ও জস বাটলারও (১১)। রানরেটও তখন নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে খেলা ঘোরান অশ্বিন। তার তিনটি বিশাল ছক্কায় খানিক অক্সিজেন পায় দিল্লি। যদিও অশ্বিন নন, এদিন দিল্লি ব্যাটিংয়ের আসল স্থপতি রিয়ান পরাগ। বহু আইপিএ ম্যাচ খেলেও সেই অর্থে মনে রাখার মতো কটা ইনিংস তিনি খেলেছেন মনে করা মুশকিল। কিন্তু এ দিনের ইনিংসটি অনবদ্য। ৪৫ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি সাজানো আধ ডজন ছক্কা ও ৭টি বাউন্ডারিতে। শেষদিকে অনবদ্য খেলে যান ধ্রুব জুড়েলও। ১২ বলে ২০ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি বাউন্ডারি। বোলিংয়ে শুরু ভালো করেও হতাশ করলেন মুকেশ কুমার। তবে অক্ষর প্যাটেল ও খলিল আহমেদের মাপা বোলিংয়েই শেষপর্যন্ত ২০০ পেরতে পারেনি রাজস্থান।

জবাবে মিচেল মার্শের ব্যাটিংয়ে ভর দিয়ে প্রথম থেকেই ভালো রান তুলছিল দিল্লি। কিন্তু ১৪৫ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা গোলায় তার উইকেট উপড়ে নেন বার্জার। মাত্র দুই বল পরেই আউট রিকি ভুই। এই বলটিও ছিল চোখ ধাঁধানো। আদপে ১৪০-এরও কম গতি, অথচ এমন লেংথে বলটি পড়েছিল নবাগত ভুইয়ের কাছে তার কোনও উত্তর ছিল না। ৪ ওভারে ৩৪/২, এই পরিস্থিতিতে লড়াইটা বিরোধী শিবিরের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করেন অভিজ্ঞ ওয়ার্নার। ছক্কা-চারের বন্যা বইয়ে দিতে থাকেন তিনি। সময় দেন পন্থকে সেট হওয়ার। তাদের পার্টনারশিপ যতক্ষণ চলছিল মনেই হচ্ছিল, ম্যাচ দিল্লির হাত থেকে যায়নি। কিন্তু অর্ধশতরান থেকে এক রান দূরে আবেশ খানের বলে ওয়ার্নার ফিরতেই মুখের হাসি চওড়া হয় রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের। ৩টি ছক্কা ও ৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওয়ার্নার। কিন্তু একটা ভুল শট বাছাই কার্যত টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। অথচ লেংথ বলে ওই ধরনের শট আকছার খেলে দেন ওয়ার্নার। এদিন হলো না।

ওয়ার্নার আউট হতেই খেলার দায়ভার বর্তায় প্রায় একা পন্থের উপরে। কিন্তু তিনি ২৬ বলে ২৮ করে আউট হলেন। দুটি চার ও একটি ছক্কার ইনিংসটি আর যাই হোক সেই চেনা পন্থোচিত ব্যাটিংয়ের ধারেকাছে যায় না। আসলে এতদিন পরে ফিরেছেন। ছন্দ ফিরে পাওয়াটা যে সহজ হবে না, সেটা নিশ্চয়ই বুঝছেন তারকা ব্যাটসম্যান। কিন্তু এখান থেকেই খেলাটা ধরলেন ত্রিস্তান। তার ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংসেও শেষরক্ষা হলো না দিল্লির।