Naya Diganta
পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভিড় বেশি

মিরসরাইয়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভিড় বেশি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে ঈদের বাজার। রমজানের প্রথম ১০ দিন কেনাকাটা কম হলেও ১৫ রমজান থেকে জমে উঠেছে কেনাকাটা। তবে ২০ রমজানের পর কেনাকাটা আরো জমজমাট হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে দোকানগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভিড়ই বেশি।
দেশীয় জামদানি, টাঙ্গাইল ও তাঁতের নতুন ডিজাইনের শাড়িসহ নারীদের বিভিন্ন পোশাক বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। ফ্যাশনের পাশাপাশি ঐতিহ্যকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন নারীরা। আর প্রচুর কালেকশনের পাশাপাশি দাম স্বাভাবিক থাকায় খুশি ক্রেতারা। দোকানগুলো শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, জুতা ও বাচ্চাদের নানা রঙের কাপড় সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড় ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র বারইয়ারহাটের মসজিদ গলির লাকী ফ্যাশন মল ও সেঞ্চুরি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। এবার নতুন কালেকশানের মধ্যে রয়েছে সারারা, আলিয়া কার্ড, সাদা বাহার, ওয়াকা, সাকিরা, তেরেনাম, সোহানাসহ নানা ধরনের নতুন ডিজাইনের পোষাক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাড়ি থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিকসামগ্রী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছেন ক্রেতারা। বারইয়ারহাট মসজিদ গলির হাসান সুজ, অহনা সুজ, আয়েশা সুজ, গ্রিন টাওয়ারে অবস্থিত লটো, বাটা, এপেক্স বারইয়ারহাটের নূর সু গ্যালারি, মিঠাছরার জুতার হাট শোরুমে ভালো বিকিকিনি লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রির দিক থেকে এবারো শীর্ষে থাকতে পারে বারইয়ারহাটের ঐতিহ্যবাহী লাকি ফ্যাশন মল, মিঠাছড়ার খাজা ক্লথ ও আবুতোরাবের ভূঁইয়া ক্লথ স্টোর।
বারইয়ারহাটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা গৃহবধূ সুলতানা মমতাজ বলেন, অনেক বছর ধরে বারইয়ারহাট থেকে ঈদের কেনাকাটা করছি আমরা। মসজিদ গলিতে কালেকশান বেশি থাকায় দেখে-শুনে পছন্দমতো কেনাকাটা করা যায়।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বারইয়ারহাট পৌর বাজারে পুলিশের একটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। মানুষ যাতে নির্বিঘেœ ঈদের কেনাকাটা করতে পারে এ জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশের কয়েকটি টিম ভাগ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।