Naya Diganta

রিশাদের ৫ উইকেটেও শাইনপুকুরের হার

জাতীয় দলের হয়ে আলো ছড়ানোর পরই ঘরোয়া ক্রিকেটে দরজা খুলে গেছে রিশাদের। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে ব্যাটে-বলে নিজের জাত চেনানো রিশাদ সুযোগ পেলেন ডিপিএলের সবশেষ তিন রাউন্ডেই। প্রথম দুই ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করা তরুণ এই লেগ স্পিনার বাজিমাত করেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। দারুণ বোলিংয়ে ৪৯ রানে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে রিশাদের এমন বোলিংয়ের পরও জিততে পারেনি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ২২৩ রান তাড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের ৪১ রানের ইনিংসের পরও শাইনপুকুর হেরেছে ২৬ রানে।
বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২২৩ রান তাড়ায় ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন শাইনপুকুরের বাঁ হাতি এই ওপেনার তানজিদ। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন আকবর আলী ও মার্শাল আইয়ুব। উইকেটকিপার ব্যাটার ইরফান শুক্কুর ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। অনেকটা সময় থিতু হয়ে থাকা মেহেরব আউট হয়েছেন ৩৬ রানে। শেষ দিকে জাওয়াদ রোয়েন ২৯ এবং রবিউল হক ১৮ রান করলেও শাইনপুকুরের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২৬ রানে হারের দিনে আকবরের দলকে থামতে হয় ১৯৬ রানে। ব্রাদার্সের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রহমতউল্লাহ ও মনির।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি মজিদের। ৯৫ রানের ইনিংস খেলা ব্রাদার্সের এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন আরাফাত সানি। শেষ দিকে আর কেউ ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারায় ২২২ রানে থামতে হয় তাদের। শাইনপুকুরের হয়ে রিশাদ ৫টি এবং সানি নিয়েছেন দু’টি উইকেট।
শামিম তৌফিকে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বড় জয়
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয় পেলেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না শামীম পাটোয়ারী। সবশেষ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে খরা কাটিয়েছিলেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার। রান তোলার ধারাবাহিকতা শামীম ধরে রাখলেন পরের ম্যাচেও। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে মাত্র ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রূপগঞ্জকে জেতাতে শামীমের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়েছেন তৌফিক খান তুষার। নিজেও খেলেছেন ৮ চার এবং ৪ ছক্কায় ৮৩ রানের ইনিংস। শামীম ও তুষারে ঝড়ে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার রূপগঞ্জ।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মিজানের দুই ছক্কা ও ১২ বাউন্ডারিতে ৮৮ রানে পারটেক্সের সংগ্রহ ছিল ১৯১ রান। রূপগঞ্জের হয়ে ৯ ওভার বোলিং করেও উইকেট শূন্য ছিলেন মাশরাফি। তবে ৩.৩৩ ইকোনমিতে মাত্র ৩০ রান দিয়েছেনে।
গাজী টায়ার্সের জয়
ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের মুখ দেখল গাজী টায়ার্স। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ৩৮ রানে তারা হারাল সিটি ক্লাবকে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয় গাজী টায়ার্স। ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন গাজী টায়ার্সের অধিনায়ক গাজী তাহজিবুল ইসলাম। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭৬ রানে গুটিয়ে গেছে সিটি ক্লাব। ম্যাচসেরা হন গাজী টায়ার্সের তাহজিবুল ইসলাম।