Naya Diganta

বিশ্বে বছরে ১০০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয় বাড়িঘরে : জাতিসঙ্ঘ

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর বাড়িঘরগুলোতে নষ্ট হয় গড়ে ১০০ কোটি টন খাদ্য, যার আর্থিক মূল্য এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার। অন্য দিকে খাদ্যের অভাবে প্রতি রাতে বিশ্বের নানা প্রান্তে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমুতে যায় প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের খাদ্য অপচয় সূচকের (ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স) সর্বশেষ রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই তথ্য। রিপোর্টের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সাল থেকে। এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি টন খাদ্য অপচয় হয়েছে বাড়িঘরগুলোতে, পরের বছর ২০২৩ সালেও এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।
বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক-পঞ্চমাংশ। জাতিসঙ্ঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধু এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়; বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, ফেলে দেয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিন হাউজ গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচ গুণ বেশি।
রিপোর্টটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসঙ্ঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেয়া হয়নি।’ ‘তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত পরিমাণ আরো অনেক, অনেক বেশি।’