Naya Diganta

প্রকৃতির মাঝে

আমার ভালো লাগে গ্রামের পরিবেশ। কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু সময় পেলে আমি গ্রামের সুন্দর নির্জন, শান্ত পরিবেশে হাঁটতে বের হই। আদিগন্ত ফসলের সবুজ-শ্যামল মাঠ। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ। কিচিরমিচির পাখির কলতান। চোখ যতদূর যায় সবুজের সমারোহ। ক্ষেতের আইল ধরে হেঁটে চলা কৃষক। চিরায়ত বাংলার কৃষিনির্ভর জনজীবনে হেমন্ত আনে ফসলের ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাতাল আয়োজন। ফুল-ফসলে ভরা গ্রামের এই সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য আমাকে আপ্লুত করে। নেই কোনো কোলাহল, নেই শহরের মতো ধূলো-ধোঁয়ার কষ্ট। নেই গাড়ির হর্ণের বিরক্তিকর শব্দ। যান্ত্রিক নগর-জীবনে সংস্কৃতির আগ্রাসনে গ্রামীণ সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। গ্রামের পরিবেশে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়া অনেক সহজ। কখনো ভোরে ফজর পড়ে। কখনো সন্ধ্যায় মাগরিবের আগে। ভোরের প্রকৃতির মাঝে একটু বেশি আনন্দ পায়। হেমন্তের ভোরের মসৃণ বাতাশ একটু বেশি শীতল। এই বাতাশের সুখস্পর্শ আমাকে আশ্চর্য রকম ¯িœগ্ধ অনুভূতি দান করে! মনের অজান্তে তখন হারিয়ে যায়, জীবনের ফেলে আসা অতীতের সোনালি দিনগুলোতে। ভোরের লাল সূর্যের আলোতে সবুজ যেন আরো সতেজ! তাতে যেন প্রাণের আহ্বান! সন্ধ্যার বাতাসে কী যেন নেই! তবু যেন গাছের পাতার মর্মরধ্বনিতে শোনা যায় ওপারের সুর! পরম সত্তার অদৃশ্য তুলির আঁচড়ে আঁকা প্রকৃতির চিত্রগুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়।