Naya Diganta
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ :

দেড় কোটি টাকা ইজারা দিয়ে ৫ মাসেও ঘাটে ভিড়তে পারছে না ইজারাদাররা

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ :

চট্টগ্রাম নগরের বাংলা বাজার ষ্ট্যান্ডরোডস্থ এপিসি রেলী ঘাটসহ ১২৬ কাটা জায়গা সরকার হতে চুক্তিমূলে নতুন করে ভাড়া নেয়ার পর বিপাকে পড়েছেন ইজারাদার সাইফুল ইসলাম। বাংলাদেশ জুট করপোরেশন (বিজেসি) থেকে ইজারা পাওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও ঘাটে ভিড়তে পারছেন না তিনি।

তার অভিযোগ, একটি অবৈধ দখলদারচক্র পেশীশক্তি খাটিয়ে ঘাটটি দখল করে রেখেছেন। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাছে। তার মাসে লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তৈয়ব শাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাসুদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলা বাজার ষ্ট্যান্ডরোডস্থ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন এপিসি রেলী ঘাটসহ ২ হাজার ৭৫০ একর পরিত্যক্ত জায়গা ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর পিএস শিপিংকে তিন বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সাথে পুনরায় চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় বিজেসি নতুনভাবে টেন্ডার আহ্বান করে। এতে ১১৬ টাকা সর্বোচ্চ দরদাতা আমাদের প্রতিষ্ঠান তৈয়ব শাহ এন্টারপ্রাইজ জায়গার লিজ পায়। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ইচ্ছাপত্র অনুসারে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫১০৮ টাকা পে-অর্ডারে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনকে ইজারাদার পশ্চিম মাদারবাড়ীর নজমুল ইসলামের ছেলে আমার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম পরিশোধ করেন।’

সাইফুল ইসলামের ভাই মাসুদুল ইসলামের অভিযোগ, ‘সমস্ত নিয়ম মেনে আমার প্রতিষ্ঠান এপিসি রেলী ঘাট ইজারা নেই। তবে এ ঘাটের পূর্বের ইজারাদার পিএস শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম মাসুদ আমার ভাই সাইফুল ইসলাম, শাহিদুল ইসলাম ও মো: জাহিদুল ইসলামকে ইজারাকৃত জায়গায় যেতে বাঁধা দিয়ে আসছেন। আমাদেরকে সন্ত্রাসী দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তসলিমা কানিজ নাহিদা স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিজেসি মালিকানাধীন ২৭৫০ একর জায়গা অবৈধ দখলদার মেসার্স পিএস শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা অংশীদার আশরাফুল আলম মাসুদকে সাত দিনের মধ্যে সংস্থাকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ‘উচ্ছেদ নোটিশ’ প্রেরণ করে। এরমধ্যে পিএস শিপিংয়ের পক্ষে হাইকোর্টে স্ট্রে অর্ডার এনে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ হাইকোর্টের সিভিল ডিভিশনে আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন। ফলে উচ্ছেদে আর কোনো বাধা না থাকা সত্ত্বেও আদৃশ্য কারণে জেলা প্রশাসন অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি