Naya Diganta

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ

বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস বলেছেন, সুশিক্ষিত কর্মীবাহিনী ও গতিশীল যুব সম্প্রদায়ে বলীয়ান আধুনিক বাংলাদেশ এই পথে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করেছে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফ্রান্সিস বলেন, জাতিসঙ্ঘে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার ও পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকিমুক্ত বিশ্বের ধারণা দিয়েছেন।
স্বাগত বক্তব্যে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে অগণিত মানুষ হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরও বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিগত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসঙ্ঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য অনুযায়ী ইফতার ও নৈশভোজ দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া : অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে তার দেশ কাজ করতে প্রস্তুত।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ম্যাট থিসেলওয়েট বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি এন্ডু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় দিসবটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পড়ে শুনানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়া ওয়াশিংটন, দিল্লি, ইসলামাবাদসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।