Naya Diganta

‘জেতার কোনো আত্মবিশ্বাসই ছিল না’

গতকাল বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে পাপন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে খুব ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। কিন্তু দল এতটা বাজে খেলবে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের খেলার ধরন, ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচন ও মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেটারদের কঠোর সমালোচনা করলেন বিসিবি প্রধান।
হার-জিত ছাপিয়ে পাপনের আপত্তি দলের খেলার ধরন নিয়ে। এভাবে অসহায় আত্মসমপর্ণ, কোনো তাড়না না দেখানো, উইকেট বিলিয়ে আসা, এসব মানতেই পারছেন না তিনি। ‘সমস্যা পরাজয় নিয়ে নয়। সমস্যা হচ্ছে, যেভাবে তারা হেরেছে, যেভাবে তারা খেলেছে, তাদের যে মাইন্ডসেট, অ্যাটিটিউড, শট নির্বাচন, ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস, এটা জঘন্য, বিচ্ছিরি ছিল দেখতে জঘন্য। মনে হয়েছে, হয় তারা এই সংস্করণ খেলতে চায় না, অথবা অন্য কোনো সমস্যা। এটা নিয়ে আমরা কষ্ট পেয়েছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই ধরনের শট নির্বাচন, এই ধরনের মাইন্ডসেট, এটা টেস্টে যায় না। এরা কেউ বাচ্চা ছেলে নয় যে হঠাৎ করে মাঠে নেমেছে এবং এসব বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকে জানে। এসব নিয়েই আমাদের মন খারাপ হয়েছে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩৩৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসের কোনোটিতে দল পারেনি দুই শ’ ছুঁতে। গোটা ম্যাচে ফিফটি স্পর্শ করতে পারেন কেবল একজন ব্যাটসম্যান, ফিফটি জুটি ছিল মোটে একটি। শেষ ইনিংসে বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটাররা খেলেছেন বাজে শট। প্রতিকূলতায় টিকে ছিলেন কেবল লিটল মাস্টার মুমিনুল হক। এ ছাড়া লড়াইয়ের তাড়না খুব একটা দেখা যায়নি কথিত সেরাদের পারফরম্যান্সে।
চোটের কারণে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহীম, বিশ্রামে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তো শেষই দেখছেন অনেকে। সিলেটের পিচও ছিল ব্যতিক্রম। উইকেটে ছিল ঘাসের ছোঁয়া, পেসারদের জন্য ছিল সহায়তা। নিজেরা এই ধরনের উইকেট বেছে নিলেও তাতে মানিয়ে নিতে পারেনি শান্ত বাহিনী।
বিসিবিতে গতকাল মিডিয়ার সামনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন পাপনও, ‘সবার কাছে যেমন লেগেছে, আমার কাছেও তেমন। অবশ্যই ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। হারা-জেতা নিয়ে আমার অতটা ভাবনা নেই। অন্যান্য দেশেও যখন তাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা চলে যায়, নতুন একটা দল আসে, তখন তারা চার-পাঁচ বছর ভুগতে থাকে। তাতে আমাদের দলের অবস্থা অতটা খারাপ হয়নি, যতটা খারাপ অন্য দেশের হয়েছে। সেদিক দিয়ে মোটামুটি ভালো আছে।’
‘দ্বিতীয়ত, উইকেট। পুরো অন্য ধরনের উইকেটে খেলার চেষ্টা করছি। যারা খেলছে, তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। পরের ধাপে যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, করেছি। কাজেই হারা-জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী হয়েছে, সেটা নিয়ে চিন্তিত নই। এটা যে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল, তাও নয়। টেস্টে শ্রীলঙ্কার সাথে জিতবই, ওরকম আত্মবিশ্বাস আসলেই ছিল না।’