Naya Diganta

বগুড়ায় রমজানে টিসিবির পণ্য পাননি দেড়লক্ষাধিক পরিবার

বগুড়ায় রমজানে টিসিবির পণ্য পাননি দেড়লক্ষাধিক পরিবার

মার্চ মাস শেষ হতে চললেও এখনো ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য পাননি বগুড়া জেলার দেড় লক্ষাধিক পরিবার। পবিত্র রমজান মাসে টিসিবির এমন আচরণে গ্রাহকরা চরম ক্ষুদ্ধ। টিসিবি পণ্য বিক্রি করতে না পারাকে সরবরাহ ঘাটতি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)'র বগুড়া ক্যাম্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার ১২ উপজেলায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে প্রতিমাসে সয়াবিন ও রাইস ব্রান তেল, মসুরডাল, চাউল ন্যায্য দামে ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করে। কিন্তু টিসিবি তার সঙ্কটের কারণে বিগত ফেব্রুয়ারি মাসের বরাদ্দ এখনো সকল গ্রাহকের কাছে বিক্রি শেষ করতে পারেনি। একইভাবে চলতি মার্চ মাসের ২৫ দিন শেষ হলেও এখনও মার্চ মাসের বরাদ্দ ডিলারদের দিতে পারেনি। এতদিন সমাজের স্বল্প আয়ের মানুষ টিসিবির পণ্য বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে কিনে সাশ্রয় পেত। কিন্তু মার্চ মাসে এখনো কিনতে না পেরে চরম কষ্টে রয়েছেন। পবিত্র রমজান মাসে এমন অবস্থায় নিম্ম আয়ের মানুষের কষ্ট আরো বেড়েছে।

এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাহক সানাউল হক বলেন, টিসিবির পণ্য কিনে কিছুটা সাশ্রয় পাই। কিন্তু মার্চ মাসে কোনো খবর নেই। এতে আমার মতো গরীব মানুষ কষ্টে আছে। তাড়াতাড়ি পণ্য বিক্রি শুরু করা দরকার।

টিসিবির বগুড়া ক্যাম্প (আঞ্চলিক) অফিস বলেছে, ছোলা সঙ্কটের কারণে পুরো জেলায় এখন পর্যন্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসের বরাদ্দকৃত পণ্য বিক্রি শেষ করা যায়নি। এছাড়া সয়াবিন তেল সরবরাহ ঘাটতির কারণে চলতি মাসের পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরুই করা যায়নি।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)'র বগুড়া ক্যাম্প অফিস প্রধান প্রতাপ কুমার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বগুড়া জেলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলছে। মূলত ছোলা সরবরাহ সঙ্কটের কারণে গাবতলী, শেরপুর ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ শেষ হয়নি। দু'এক দিনের মধ্যে এই তিন উপজেলায় গত মাসের পণ্য বিতরণ শেষ হবে। এছাড়া বর্তমানে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সঙ্কট থাকায় মার্চ মাসের পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

তিনি আরো বলেন, রমজান উপলক্ষে বগুড়ায় খেজুরের কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে ছোলার পরিবর্তে মার্চ মাসের পণ্যতে ৭০ টাকা কেজি দরে এক কেজি করে চিনি পাবেন প্রতিটি কার্ডধারী পরিবার। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মার্চ মাসের পণ্য বিতরণ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।