Naya Diganta

ভৈরবে ট্রলার ডুবি : পুলিশ কনস্টেবল রানাসহ পরিবারের সবার লাশ উদ্ধার

ভৈরবে ট্রলারডুবিতে পুলিশ কনস্টেবল রানাসহ স্ত্রী-সন্তানদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে পুলিশ কনস্টবল সোহেল রানার পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই। গত তিন দিনে একে একে সকলের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে নিখোঁজ সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে শনিবার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও রোববার মেয়ে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোহেল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে রিক্রুট হন।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি সাজু মিয়া বলেন, সোহেল রানা আমাদের সহকর্মী ছিলেন। এভাবেই পুরো পরিবার দুর্ঘটনায় মারা যাবার খবরে আমরা মর্মাহত। তার পরিবারের চারটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের পর শনিবার রাতে দেবিদ্বারের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।

সোমবার বাদ জোহর ভৈরব হাইওয়ে থানার সামনে সোহেল ও তার দুই সন্তানের জানাজা শেষে লাশ দাফনের জন্য স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

সোহেলের ভগ্নিপতি ও ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি লাশ নিয়ে দেবিদ্বারের পথে আছি। বাদ আছর জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাদের সমাহিত করা হবে। এদিকে একসাথে চারজনের মৃত্যুর খবরে সেহেলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন এলাকার লোকজন। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে একই ট্রলারে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি ছবি তোলার জন্য ট্রলার মাঝিকে অনুরোধ করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় ট্রলারটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। এ সময় মারিয়া প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর চারজন পানিতে তলিয়ে যান।