মেঘনায় ট্রলারডুবি : কনস্টেবলের স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার
- ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫২
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শেখ রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও তার মেয়ে মাহমুদার লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা ও ছেলে রায়সুল।
সোহেলের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে এবং তিনি ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। সোহেল ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ভৈরব সেতু এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি ট্রলার নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয় একটি বাল্কহেড। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জল হক নামে এক যুবককে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
সূত্র : ইউএনবি