Naya Diganta

চিনাডুলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক নদীতে বিলীন

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘরটি গত বছরের বন্যায় ভেঙে অর্ধেকটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেকের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক ও কোমলমতি শিশুরা। বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষক ও ১১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

যমুনার শাখা নদে বিদ্যালয়টির স্কুল-ঘর ও খেলার মাঠ অর্ধেক ভেঙে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধ, ভবন পুনর্নির্মাণ কিংবা স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

শিশু শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলে, ‘অন্যদের স্কুল কত সুন্দর। খেলার মাঠ, দোলনা দালান ও বাগান আছে। আর আমাদের স্কুল ভাঙা। অর্ধেক নদীর মধ্যে। এই স্কুলে আসতে আমার আর ভালো লাগে না।’

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুদ আনোয়ার বলেন, ‘সরকার জরুরি ভিত্তিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘স্কুলটি একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। স্থানান্তর না করা হলে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। কিন্তু স্কুলটি স্থানান্তরের জন্য কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।’

এ অবস্থায় স্কুলটি কোথায় স্থানান্তর করা যায় তা নিয়ে ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। আর নদীভাঙন রোধের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।