Naya Diganta

স্লিপিং ট্যাবলেট খে‌লেও সরকা‌রের ঘুম আসে না : গয়েশ্বর

ভূতের ভয়ে স্লিপিং ট্যাবলেট খেলেও সরকারের ঘুম আসে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত 'গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা চিৎকার করি, অনেক কিছু বলি, আমাদের দুঃখ-কষ্ট মানুষ দেখে। এখন মানুষ বোঝে আমরা ইদানিংকালে কোন অবস্থানে আছি। কিন্তু সরকার যে কোন অবস্থানে আছে ওটা মানুষ দেখে না। এটা ওরা (সরকার) জানে, ওরা বোঝে। ওরা যে সুখে আছে তা না। ওরাও ভূতের ভয়ে আছে। স্লিপিং ট্যাবলেট খেলেও এই ভূতের ভয়ে তাদের ঘুম আসে না।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ভোটের দিন ভোট দিতে গেছে তারা ভোট দিতে পারে নাই। লাইনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেছে। টাকা আর বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমরা সব সময় যেটা বলি, ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। ঠিক একইভাবে আজকে ভোট হোক বা না হোক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।’

পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদেরও লজ্জাবোধ ছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারেরও লজ্জাবোধ আছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের লজ্জাবোধ নাই। শুধু কাপড় দিয়ে শরীর আবৃত করলেই লজ্জা নিবারণ হয় না। এটা হচ্ছে নৈতিকতার লজ্জাবোধ। তাদের সেটা নাই। আর এরশাদ ছিল প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরাচার।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সবাইতো গণতন্ত্রের কথা বলছে, গণমাধ্যমের কথা বলছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী স্বাধীন? আমিতো তা মনে করি না। আজকাল টেলিভিশনের টকশোতে যেভাবে নির্লজ্জভাবে কথা বলে এটা সাংবাদিকতা না। আবার মালিকদেরও একটা ব্যাপার আছে। প্রতিটা হাউজেই কোন সংবাদ যাবে, কোন সংবাদ যাবে না সেটাও বাছাই করা হয়। এখন সরকারের প্রশংসা আর চাটুকারিতা করতে করতে অনেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিকের স্বাধীনতা থাকলে তারা লিখতে পারবে। কিন্তু মালিকরা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করে, তাই তারা লিখতে পারে না। 

তিনি আরো বলেন, আজকে ২০০৮ সাল থেকে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। ভোট কিন্তু একটা উৎসব। কিন্তু আজকে সেটাকে ভাগ করে দিয়েছে শুধু গণতন্ত্রের জন্য। এখন বহু সাংবাদিক রাজনীতিবিদ আছে যারা স্বার্থের জন্য গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্র করে ফেলে। আবার স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্র বানিয়ে ফেলে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন প্রমুখ।