Naya Diganta

ব্যারিস্টার কাজলের মুক্তি দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের মানববন্ধন

ব্যারিস্টার কাজলের মুক্তি দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের মানববন্ধন

সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপি প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের মুক্তি দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ আইনজীবীরা। মানববন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশ নিয়ে অবিলম্বে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানবন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখে সিনিয়র আইনজীবী মো: মহসিন রশিদ, ইউনূছ আলী আকন্দ, শামীমা সুলতানা দিপ্তী, মো: মাহবুবুর রহমান খান, তৌফিক ইমাম টিপু, আশরাফ হোসেন প্রমুখ।

আইনজীবী মো: আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো অংশ নেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন, মাহদিন চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, কাজী আখতার হোসেন প্রমুখ।

সিনিয়র আইনজীবী মো: মহসিন রশিদ বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে মিথ্যা মামলায় আমাদের একজন সিনিয়র আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি ব্যারিস্টার কাজলসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। কাজলসহ যেসব আইনজীবী জেলে আছেন আজকেই তাদের মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, আমরা ধরে নেব যে দেশে কোনো আইন নেই, আইনের শাসন নেই, ইসাফ নেই।’

উল্লেখ্য, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির মামলায় সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপি প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গত ৯ মার্চ গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুপুরে তার জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার কাজলের পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। ওই দিন আদালত জামিন শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করে।

গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এরপর ১০ মার্চ তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।