Naya Diganta

স্বামীর হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার চান সাধনা

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষক ও অধিকারকর্মী সাধনা মহল।

স্বামী গোবিন্দ বরের হয়রানি ও তার দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন গবেষক ও অধিকারকর্মী সাধনা মহল।

রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন তিনি।

‘অধিকার কর্মী সাধনা মহল : পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিচারিক নারী-নির্যাতনের শিকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাধনা মহল স্বামীর অপরাধের বিবরণ দেন।

সাধনা মহল বলেন, গত ১৮ মে থেকে ৫ জুন ২০২৩ পর্যন্ত বিদেশে আমার দুই সপ্তাহের অনুপস্থিতির সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গোবিন্দের বন্ধু মুনিয়া এবং তার স্বামী সাইফুল্লাহ এবং মনির (গুলশান থানার একজন সোর্স) সাথে নিয়ে পরিকল্পনা করেছিল আমার বিরুদ্ধে চুরি ও চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার। এমনকি তারা আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করার এবং আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিতে রাজি না হলে একটি মিথ্যা মামলা করার পরিকল্পনা করেছিল (ভিডিও ফুটেজ রয়েছে)। আমি তার স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর নামে বাসা ভাড়া কনট্রাক্ট থাকার অজুহাতে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। এমনকি কয়েকবার গুলশান পুলিশও আমার বাসায় আসে। তারা আমাকে ডিভোর্সের জন্য বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেয়। ভাড়াকরা গুণ্ডা দিয়ে আমাকে মোটরসাইকেলে অনুসরণ করায়। মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে। আজ অবধি আমি মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারি না। আমার মৌলিক অধিকার আজ ভুলুণ্ঠিত।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে জুলাই মাসে আমার বিরুদ্ধেই গুলশান থানায় দণ্ডবিধির ৩৮০ ধারায় একটি চুরির মামলা করে গোবিন্দ। তবে উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের একটি আদেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিবাহিত অবস্থায় স্বামীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চুরির মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তবু পুলিশ আমাকে গুলশানের রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে। চুরির মামলা বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও সারা রাত অমানবিক আচরণ, অকথ্য ভাষার ব্যবহার, ফোন করতে না দেয়া, পানি খেতে না দেয়া, বাথরুম ব্যবহার করতে না দেয়া, অন্য পাশের সেলের পুরুষ বন্দী আমার সেলে ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকিসহ সারা রাত ট্রমাটাইজ করে নির্যাতন চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেন সাধনা মহল। সেগুলো হলো

১. অবিলম্বে সাধনা মহলের নামে করা মিথ্যা-বানোয়াট মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে এবং মৌলিক অধিকার স্বীকৃত আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে ।

২. মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে চাতুর্যের বেআইনি মামলা প্রদান এবং প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, বিশেষত গুলশান থানা ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা প্রদান বন্ধ করতে হবে।

৩. তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির চর্চার ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইনে গোবিন্দর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. এডিবি সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পক্ষপাতহীন অবস্হান নেবে। একজন অভিযুক্ত নারী নির্যাতনকারীর জন্য দ্রুত এডিবি কঠোর অবস্হান নেবে।

৫. এডিবির কৌশলগত পদ-পদবী ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে গোবিন্দ বর প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যা দেশের বিচারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। এর প্রতিকার চাই।