Naya Diganta

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেগম রোকেয়া হল ও শেখ রোজী জামাল হলের সীমানা নির্ধারণজনিত সমস্যা এবং ওই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তের জন্য ১৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার ও সদস্য সচিব ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আফরিনা মুস্তারি।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: অলিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিসূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটিকে গত ১২ মার্চ বেগম রোকেয়া ও রোজী জামাল হলের সীমানা নির্ধারণ এবং ওই বিষয়ে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন অথবা দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, আমাদেরকে আগে হল পরিদর্শন করতে হবে। তদন্ত কমিটির সকলে মিলে আলোচনায় বসলে বোঝা যাবে যে কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। কমিটির তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আবু হাদী নূর আলী খান, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: হারুন-অর-রশিদ, পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন-১, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: সাইদুর রহমান, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো: আজহারুল ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন গোস্বামী, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো: শাহীন ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রী হলের (বেগম রোকেয়া হল ও শেখ রোজী জামাল হল) সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই দলের (সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক মো: মেহেদী হাসান অনুসারী) মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ভেতরে ওই ঘটনার সূত্রপাত হয় এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে এবং আব্দুল জব্বার মোড়ে ব্যাপকভাবে তা ছড়িয়ে পড়ে।