Naya Diganta

যুক্তরাষ্ট্রে টিক টকবিরোধী আইন অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রে টিক টকবিরোধী আইন অনুমোদন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বুধবার একটি আইন অনুমোদন করেছে। এই আইনটি জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটককে তার চীনা মালিকানাধীন প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স থেকে আলদা হতে বা সফটওয়ারটির যুক্তরাষ্ট্রের সংস্করণ বিক্রি করতে বাধ্য করবে।

সেন্টার ফর স্ট্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ফেলো কেইটলিন চিন-রথম্যান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, 'উদ্বেগের বিষয় হলো টিকটক তার মূল সংস্থা বাইটড্যান্সের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য স্থানান্তর করতে পারে, যারা এই তথ্যগুলো চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।'

সোমবার টিকটক এই আইনকে ‘নিষিদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে এবং আবারো এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে এক্স-এ পূর্বতন টুইটারে, এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, 'আইনটির একটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফল রয়েছে; যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।'

বিলটি হাউস ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের দৃঢ় সমর্থন পেয়েছিল। এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এপটির অ্যাক্সেস হারানোর বিষয়ে কংগ্রেশনাল অফিসগুলোতে উদ্বিগ্ন আমেরিকানদের কাছ থেকে হাজার হাজার ফোন কল আসছিল।

ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে বিলটি অনুমোদন করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেন, এটি যথাযথ কমিটিতে বিবেচনা করা হবে।

হোয়াইট হাউস জানায়, তারা এই আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বাইডেনের প্রচারণা শিবির সম্প্রতি তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা হিসেবে টিকটকে যোগ দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা আমাদের ক্ষতি করতে পারে তাদের হাতে মালিকানা থাকবে না।'

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এখন তিনি মত পরিবর্তন করে যুক্তি দিয়েছেন যে টিকটক আর সহজলভ্য না হলে ফেসবুককে আরো শক্তিশালী করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার বিষয়ে সাংবিধানিক উদ্বেগ ছাড়াও বিলটি আইনত প্রয়োগ করা কঠিন হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা