Naya Diganta

টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আবারো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে আরো একবার শিরোপা উল্লাস বাংলার বাঘিনীদের। এবার অনুর্ধ্ব ১৯ নারী সাফের শিরোপা দখলে নিল টাইগ্রীসরা, গোলকিপার ইয়ারজানের অবিস্মরণীয় নৈপুণ্যে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতল তারা।

রোববার নেপালের ললিতপুরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভারত। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে গোলরক্ষক ইয়ারজানে ভর করে ভারতকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের নারী ফুটবল। একের পর এক হিরন্ময় পালক যুক্ত হচ্ছে সাফল্যের মুকুটে। যার সর্বশেষ সংযোজন এই শিরোপা। পুরো আসর জুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলা টইগ্রীসরা আসরের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। 

তবে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ম্যাচ শুরুর চতুর্থ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে সৌরভীরা। বাংলাদেশের জালে বল জড়ান আনুশকা কুমারী। তবে পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে টিটুর শিষ্যরা। কিন্তু ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না। যদিও ৪৩তম মিনিটে কর্ণার থেকে গোলের সুযোগও তৈরি হয়, কিন্তু ভারতকে সে যাত্রায় রক্ষা করেন গোলরক্ষক মুন্নি। 

এরপর দু'দলেরই চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে কেউই তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। তবে অবশেষে ৭১তম মিনিটে এসে গেরো খুলে বাংলাদেশ। দেখে গোলের মুখ। কর্ণার থেকে পূজার ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে পা বাড়িয়ে দিয়ে জালে জড়ান মরিয়ম বিনতে হান্না। ম্যাচে ফেরে ১-১ সমতা।

বাকি সময়ে কোনো দল আর গোল করতে না পারলে শিরোপা নির্ধারণে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে বাজিমাত করেন বাংলাদেশী গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। ভারতের মেয়েদের তিনটি শট ঠেকিয়ে তিনি দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত শিরোপা।

এখানেও অবশ্য শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম শট জালে জড়াতে ব্যর্থ হন সুরভী। তবে শভেতা রানী টাইব্রেকারে ১-০ তে এগিয়ে দেয় ভারতকে। যদিও বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় শটে গোল করে মরিয়াম। আর ভারতের দ্বিতীয় শটটি মিস করে আলিনা। তাকে হতাশ করেন ইয়ারজান।

বাংলাদেশের তৃতীয় শটটিতে গোল করে থুইনুই মারমা। ভারতের বনিফিলিয়ার করেন মিস। তবে চতুর্থ শটে গোল করতে পারেননি আলপি। ভারতকে সমতায় ফেরান অনিতা রঘু রামন। কিন্তু সাথী মানদা পঞ্চম শটে গোল করলে ফের এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর ইয়ারজান ভারতের দেবযানীর শেষ শটটি ঠেকিয়ে দিতেই গড়ে ফেলে ইতিহাস। 

এদিন চ্যাম্পিয়ন শিরোপার সাথে আরো দু'টি পুরস্কারও দখলে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে সর্বোচ্চ ৫ গোল করে মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন সৌরবী আকন্দ প্রীতি। আসরসেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন ইয়ারজান।