Naya Diganta

মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। 

কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং ( Steven Sim Chee Keong) সম্মানিত অতিথি হিসাবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে তিনি মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান ও হাইকমিশনারের সহধর্মিণী মিসেস প্যান্ডোরা চৌধুরীর সাথে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।

বক্তৃতাকালে তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতার স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। তিনি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করেছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের সদস্য, হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারবর্গসহ প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের পাটের তৈরি দৃষ্টিনন্দন ব্যাগে বাংলাদেশের কৃষি পণ্য এবং প্রকাশনা উপহার দেয়া হয়।