Naya Diganta

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র : সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে এখনো ১০ হাজার শিশু যোদ্ধা আছে

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের সরকার সোমবার বলছে, ‘গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রায় ১০ হাজার শিশু দেশটির সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সাথে জড়িত আছে এবং তারা যুদ্ধে লড়ছে।’

পরিবার বিষয়ক-মন্ত্রী মার্থে কিরিমা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শিশুদের এখনো যোদ্ধা, গুপ্তচর, বার্তাবাহক, পাচক ও এমন কী, যৌনদাস-দাসী হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘১৫ হাজার শিশু বিদ্রোহীদের হাত থেকে পালাতে সমর্থ হলেও তাদের অনেকেই মানসিক যন্ত্রণায় আছে এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।’

২০১৩ সাল থেকে এই দরিদ্র, কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদে প্রাচুর্য্যশালী দেশটিতে সঙ্ঘাত চলছে। সে বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া বোজিজেকে উৎখাত করে মুসলিম-প্রধান সেলেকা বিদ্রোহীরা ক্ষমতা দখল করে। মূলত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী আধা-সামরিক বাহিনীগুলো পালটা হামলা চালাচ্ছে এবং তারা বেসামরিক ব্যক্তিদেরকেও লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করে থাকে।

এই দেশে জাতিসঙ্ঘের একটি শান্তিরক্ষা মিশন রয়েছে। তাদের হিসাব মতে, ‘যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং ১০ লাখেরও বেশি বা দেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক ভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৯ সালে সরকার ও ১৪টি সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে শান্তি চুক্তি হলেও এখনো যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।’

জাতিসঙ্ঘ শিশুদেরকে সশস্ত্র সংগঠনগুলোতে যোগ দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে এবং আবার তাদের সমাজের সাথে মিশে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে সহজ করার চেষ্টা করছে। সংস্থাটি তাদেরকে মেকানিক, মিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, ছুতারমিস্ত্রি ও অন্যান্য পেশার কাজ শেখার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।

আগে যোদ্ধা ছিল এমন কয়েকজন শিশু বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছে, ‘তাদের এই দু:সহ অভিজ্ঞতা তাদেরকে শান্তিদূত হতে অনুপ্রাণিত করেছে।

দ্য ড্যানি অ্যানগারাসো ফাউন্ডেশন নামে একটি স্থানীয় নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী সরকারকে শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যাতে শিশু সেনারা সুরক্ষিত থাকতে পারে।

ফাউন্ডেশন প্রধান বলেন, ‘তারা হয়তো গতকাল যুদ্ধ করেছে, কিন্তু চাইলে আজকে তারা শান্তির জন্য আন্দোলন করতে পারে।’

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা