Naya Diganta

হাইতির রাজধানীতে পুলিশের সাথে গ্যাংদের লড়াই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

হাইতির গ্যাং সদস্যরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে, যেখানে অসংখ্য পুলিশ কর্মকর্তা বসবাস করে। চলমান আক্রমণে সেখানে চার দিন ধরে অবরোধ চলছে এবং বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছে যে সহিংসতা গোটা পোর্ট-অ-প্রিন্স জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার সোলিনো জুড়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো। কালো ধোঁয়ার ঘন কলাম একসময়ের শান্তিপূর্ণ ওই অঞ্চল ঢেকে ফেলেছিল। ভীত-সন্ত্রস্ত বাসিন্দারা সাহায্যের জন্য রেডিও স্টেশনগুলোকে ফোন করতে থাকে।

অজ্ঞাত পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, ‘পুলিশ না এলে আজ আমরা মরে যাবো।’

৫২ বছর বয়সী হকার লিটা সেন্টিল এপিকে বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা ধরে বিরামহীন বন্দুকযুদ্ধে আটকে থাকার পরে বৃহস্পতিবার তিনি তার কিশোর ভাগ্নের সাথে সোলিনো থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

আরেক বাসিন্দা নেনেল ভলমে এপিকে বলেন, ‘রোববার তিনি তার বাড়ির কাছে এক বন্ধুর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় একটি গুলি তার ডান হাতে আঘাত করে।’

তিনি তার গজে মোড়ানো আহত হাতটি তুলে বলেন, ‘আমার হাসপাতালে যাওয়ার উপায় নেই।’

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশন :
সোলিনোতে কে হামলা করেছিল বা কারা তাতে অংশগ্রহণ করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার ছিল না। এই এলাকা, যেখানে হাজার হাজার মানুষ বাস করে, এক সময়ে গ্যাং দিয়ে ভরা ছিল।

আক্রমণটি গ্যাংগুলোর জন্য একটি মোড়-ঘোরানো মুহূর্ত হতে পারে। গ্যাংগুলো এখন পোর্ট-অ-প্রিন্সের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে বলে অনুমান করা হয়। গত বছর তারা প্রায় ৪০০০ মানুষকে হত্যা আর ৩০০০ লোককে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে গ্যাংগুলোর কর্মকাণ্ড পুলিশের কাজ প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।

গ্যাং সহিংসতা দমনে সাহায্য করার জন্য হাইতি কেনিয়ার নেতৃত্বে একটি বিদেশী সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার জন্য অপেক্ষা করছে। অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই বাহিনীকে অনুমোদন দিয়েছিল।

এই বাহিনী এর মোতায়েনকে আটকে দিয়েছে, এমন একটি আদেশের বিষয়ে কেনিয়ার একজন বিচারক ২৬ জানুয়ারি একটি আদেশ জারি করবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা