Naya Diganta

আমি কৈশোর পেরিয়ে যৌবন বলছি

কৈশোর হলো জীবনযাত্রার নতুন দিগন্ত। দিগন্তের নতুন পথে হেঁটে চলা। যেখানে দীর্ঘপথ পেরিয়ে গন্তব্যের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য নিজেকে পোক্ত করে গড়ে তুলতে হয়। নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিনতে হয়- দীর্ঘ জীবনযাত্রায় আমার পূর্ণতা কতটুকু? যতটুকু আছে, ততটুকু দিয়ে নিজেকে অন্যের মধ্যে মানিয়ে নিতে পারব কি না? শৈশবের পুনর্গঠন হাসির মঞ্চ থেকে কৈশোরের বাস্তবতায় নিজেকে কতটুকু যুক্তিসম্মত মনে হয়? মানবিকতার বিশুদ্ধ কোমলপ্রাণে আমি কি পারব হেলা-অবহেলার দুনিয়ায় নিজেকে ভিন্নভাবে দাঁড় করাতে? শৈশব ফুরিয়ে কৈশোরে এসেছি কৈফিয়ত তৈরি করতে নয়; বরং নিজেকে সামলিয়ে নিতে, যেন আমার আমিটাই একদিন কৈশোরের স্মৃতি ও অহঙ্কার হয়ে দাঁড়ায় সমাজের ঘোলাটে দৃশ্যপটে।
হালের বিপরীতে পরিতাপের যে বিষয়গুলো বিস্মিত করে, তন্মধ্যে একটি হলো- শৈশব থেকে কৈশোরের পথে হেঁটে বেড়ানো সন্তানগুলো উগ্রতা আর অশালীন বিচিত্রে সময়গুলোকে নষ্ট করে জীবনকে অচল বানিয়ে দিচ্ছে। ভদ্র সমাজে আবিলতার ধৃষ্টতা তৈরি হয়েছে প্রতিটি ঘরে, যার কারণে সামর্থ্য, শক্তি ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বে¡ও একটি সুন্দর সমাজের পাশাপাশি কৈশোর সন্তানদের জীবন প্রকৃত হচ্ছে না। এগুলোর জন্য প্রতিটি মানুষের উদ্যম ও আত্মনিমগ্নতার প্রয়োজন। তবেই মিলে যাবে সুন্দর সমাজ ও আদর্শের কিশোরী সন্তান। কৈশোরের পথ পেরিয়েই সভ্যতার নিবিষ্টতায় জীবনকে উপভোগ করার নামই হলো যৌবন। যুবক-জীবনের সঠিক শিক্ষাই হলো যৌবনের সঠিক আদর্শ, যার ওপর ভিত্তি করে একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি দেশ; পৃথিবীও বটে। এই সব কিছুর জন্য একজন সরল, সততা ও সত্যিকারের আদর্শ যুবক-যুবতী প্রয়োজন। তবে, একটা যুবক-যুবতী প্রতিনিয়ত অকল্যাণের ছোঁয়া পেয়ে যাচ্ছে সময়ের প্রতিটি ধাপে ধাপে। উদ্দেশ্য মনোনিবেশ কেবল অকল্যাণের পথে পথে। অবারিত ঝরনার মতো যুবক-যুবতী গা ভাসিয়ে দিচ্ছে অকল্যাণের আঁচড়ে। যা নিন্দনীয়, তীব্র নিন্দনীয়।