Naya Diganta

গাজায় ইসরাইলের গণহত্যায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা মানবতার জন্য লজ্জা : পোপ ফ্রান্সিসকে এরদোগান

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস শাসিত গাজায় ইসরাইলের গণহত্যায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা মানবতার জন্য লজ্জা বলে আখ্যায়িত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ফোনকলে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় গাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দেয়ার প্রচেষ্টাকে সকলের সমর্থন করা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এরদোগান তুরস্কের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সঙ্ঘাতের স্থায়ী সমাধান শুধুমাত্র একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সম্ভব।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত দুই সপ্তাহে ছয় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু বলে জানা গেছে।

জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতাল এবং দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করতে হয়েছে। এসব হাসপাতাল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ আরো জানিয়েছে, মজুত জ্বালানির ভাণ্ডার ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো সংকটময় হতে চলেছে। আগামীদিনে কোন পরিষেবাকে গুরুত্ব দেয়া হবে আর কোনটা হবে না তা নিয়ে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে হতে পারে।

অন্যদিকে, ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে কোনোরকম জ্বালানি সরবরাহের বিরোধী। তাদের আশঙ্কা, ওই জ্বালানি হামাসের হাতে। তারা হামাসের বিরুদ্ধে জ্বালানি লুট করার অভিযোগও করেছে।

গাজায় দিন-রাত প্রায় সব মিলেমিশে একাকার, যুদ্ধ চলছেই। গাজা ভূখণ্ডের এই ছোট্ট অংশ যা মাত্র ১৪১ বর্গমাইল (৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার) জুড়ে রয়েছে, তার সর্বত্রই যুদ্ধের চিহ্ন।

ইতোমধ্যে ইসরাইল গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে তাই এই নির্দেশ।

কিন্তু ইসরাইল বিমান হামলা বন্ধ করেনি। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের বিমান আক্রমণ কিন্তু অব্যাহত।

সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল