Naya Diganta

অস্ট্রেলিয়ায় সাগরতীরে ৫০ তিমির মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ায় সাগরতীরে ৫০ তিমির মৃত্যু

শত চেষ্টাতেও সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না তাদের। ৫০টি তিমি ইতোমধ্যে মারা গেছে। বাকিদের সাগরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ১০০টির মতো তিমি সাগর থেকে তীরে চলে আসে। অ্যালবানির পূর্বের চেনেস সমুদ্র সৈকতের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে এক সারিতে অবস্থান নেয় তারা। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া তিমি কখনো তীরে আসে না। স্বাভাবিক অবস্থায় সলিলসমাধিই হয় তাদের । সাগরের জলরাশি ছেড়ে তিমির তীরে এসে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা মানে অবধারিত মৃত্যু। তাই প্রাণরক্ষার জন্য তাদের সাগরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে মঙ্গলবার থেকেই।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োডাইভার্সিটি, কনজার্ভেশন অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনের কর্মীরা মঙ্গলবার রাতেই সৈকতে তাঁবু খাটিয়ে তিমিদের রক্ষার চেষ্টা শুরু করেন। তাদের সাথে যোগ দেন পার্থ চিড়িয়াখানার সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। শত শত স্থানীয় মানুষও এসেছেন তিমি-রক্ষার বিশেষ দলকে সহায়তা করতে। ফলে সমুদ্র সৈকতে দেখা দেয় বিশাল জনসমুদ্র। ভিড় কমানোর জন্য স্থানীয়দের ওই এলাকা থেকে একটু দূরে যাওয়ার অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এত মানুষের চেষ্টাতেও তিমিদের সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না। ৫০টি তিমি ইতোমধ্যে ডাঙায় এসে মৃত্যুবরণ করেছে। বাকিদের প্রাণরক্ষার একমাত্র উপায় তাদের সাগরে ফেরানো। পশুচিকিৎসক এবং সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞদের দল সেই চেষ্টাই করছেন, কিন্তু তাদের কোনো চেষ্টাতেই তিমিরা এখনো সাড়া দেয়নি।

অস্ট্রেলিয়ায় এর আগেও সাগর থেকে তিমিরা দল বেঁধে ডাঙায় চলে এসেছে। নিউজিল্যান্ডেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫০০ তিমি নিউজিল্যান্ডের চ্যাথাম দ্বীপের সৈকতে চলে এসেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বাইরেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে ৫৫টি তিমি স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রিডসের প্রত্যন্ত দ্বীপ আইল অব লুইসে চলে এসেছিল। পরে সাগরের ঢেউ এসে তাদের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সূত্র : ডয়চে ভেলে