Naya Diganta
বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়রপ্রার্থী তাপস

ক্ষমতায় থেকে বরিশালের উন্নয়ন করেননি, এখন কিভাবে করবেন

বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়রপ্রার্থী তাপস

আল্লাহর সাহায্য নিয়ে এবং সম্মানিত ভোটারদের সমর্থন ও ভোট নিয়ে বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ। আমি বিজয়ের লক্ষ নিয়ে মাঠে আছি। অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবে, আপনারা গুজবে কান দেবেন না, মাঠে থাকবেন। এবার দখলবাজদের খবর আছে, কোনো ভোট চুরি ও ডাকাতি করার সুযোগ থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, আমি ৪ জুন আমার ৩০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। নৌকার প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণায় ৩৫টি দফা উল্লেখ করেছেন। পত্রিকায় পড়ে দেখলাম, আমার ইশতেহারের সাথে নতুন পাঁচটি যোগ করেছেন। তিনি নতুন কিছু কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন, ‘বাড়ি বানাতে আর টাকা চাঁদা দিতে হবে না’। আমার প্রশ্ন, আগে কাকে টাকা দিতে হতো? তিনি কোন দলের মেয়র ছিলেন? আপনি কোন দলের মেয়র প্রার্থী।

তিনি আরো বলেন, আগে উন্নয়ন হয়নি, তিনি উন্নয়ন করবেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন, আগের মেয়রকে পাঠিয়েছিলেন? গত ৫ বছর আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন। এখন ক্ষমতার মেয়াদ আছে ছয় মাস। ক্ষমতায় থাকতেই উন্নয়ন করেননি। তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে করবেন? প্রতারণার রাজনীতি জনগণ বুঝে, তাদের সাথে দয়া করে আর মিথ্যাচার করবেন না। আপনাদের কোনো ফাঁদে বরিশালবাসী পা দেবে না। নির্বাচনের আর তিন দিন বাকি। বর্তমান মেয়রকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? তাকে সাথে নিয়ে কেন আসেন না? এত ভয় কিসের। বরিশালের ভোটারদের বোকা ভাববেন না, তাহলে মস্তবড় ভুল করবেন।

বরিশালের সাংবাদিক সমাজ এবার সাহসিকতার সাথে সত্য কথা তুলে ধরছেন। আমি তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার পাশে সন্ত্রাসী বাহিনী, চাঁদাবাজ বাহিনী নেই। আছেন বরিশালের সম্মানিত নাগরিক ও সাংবাদিক বন্ধুরা। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিসনা। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে বরিশালে আমার প্রথম কাজ হবে নাগরিক নিরাপত্তা, নারী, যুব ও শিশু-বান্ধব নগরী, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন নগরী, টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ, নগর পরিচালনায় স্বচ্ছতা, উন্নত নাগরিক সেবা এবং সকলের পরামর্শ গ্রহণ করে একটি আদর্শ উৎপাদনমুখী মেগা শহর গড়ে তুলব।

৮ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী সমাজ, কারন শিল্প-করখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতে চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ করার কোনো জায়গা নেই। এই অবস্থা থেকে লাঙ্গল মার্কাই মুক্তির পথ হতে পারে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, এম রহমান পারভেজ, হান্নান, জাতীয় পার্টি বরিশাল জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এম এ জলিল, অ্যাডভোকেট বসির আহমেদ সবুজ, কে এম জুবায়ের, জাতীয় যুব সংহতি বরিশাল জেলা আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হেমায়েত, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।