Naya Diganta
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা

সুনামগঞ্জের আরো একজনের মৃত্যু

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারের ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় আরো একজন মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাদশা মিয়া (১৮) নামে আরো একজন।

মারা যাওয়া বাদশা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া এলাকার মায়েত নুরের ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী ভাটিপাড়া গ্রামের গণমাধ্যমকর্মী সৈদুর রহমান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ছয়জন, রফিনগর ইউনিয়নের দু’জন ও রাজানগর ইউনিয়নের দু’জনের লাশ বুধবার বিকেলেই নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে যায়।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাটিপাড়া গ্রামে বুধবার বিকেলে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে স্বজন ও এলাকাবাসীর কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে । এক নজর দেখতে এলাকার মানুষ ভিড় করেন পাড়ায় পাড়ায়। সারাদিন ভাটিপাড়ার গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো ছিল শোকে ম্যুহমান।

নিহতদের লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে তাদের দেখতে স্বজনদের সান্তনা দিতে ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী ছুঠে যান।

নিহতদের প্রত্যেক পরিবারে দিরাই উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়।

বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় দুর্ঘটনায় নিহত সিরাজ নুরের ছেলে সৌরভ, সামছুন নুরের ছেলে মেহের, শাহজাহানের ছেলে বাদশা, সজীব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া, মফিজ আলীর ছেলে ছায়েদ নুর, মাইন আলীর ছেলে হারিছ আলীকে (পাশের গ্রাম আলীনগর) জানাযার নামাজ শেষে ভাটিপাড়ি গ্রামের পঞ্চায়তি কবর স্থানে দাফন করা হয়।