Naya Diganta

হোসেনপুরে কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত সালাম চেয়ারম্যানের ২২ গরু

নিজের খামারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম : নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এবার কোরবানির বাজার বাজিমাত করতে প্রস্তুত উপজেলার জিনারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সফল খামারি আবদুস সালামের বিভিন্ন জাতের ২২টি গরু। এসব পশু লালনপালনে কোনো প্রকার স্টেরোয়েড ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র দেশীয় খড়, ভুসি, লালি ও সবুজ ঘাস ইত্যাদি খাওয়ানো হয়েছে বলে দাবি তার।
সফল খামারি আবদুস সালাম জানান, ২০২১ সালে মাঝামাঝিতে বাড়ির পাশে মাত্র চারটি গরু মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে গড়ে তোলেন হাফসা ক্যাটল ফার্ম। পরে খামার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে গত দুই বছরে খামারে ছয়টি শাহীওয়াল, ছয়টি সিনদী, ৮টি দেশীয় ষাঁড় ও দু’টি গাভীসহ মোট ২২টি গরু দিয়ে আদর্শ খামার প্রতিষ্ঠা করে এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। শত ব্যস্ততার পরও তিনি এবারের কোরবানির পশুর হাটের জন্য ২২টি দৃষ্টিনন্দন ও সুঠাম দেহের গরু প্রস্তুত করেছেন। গরুর জন্য তিনি নিজের জমিতে চাষ করছেন নেপিয়ার ঘাস। গরুগুলো এবারের কোরবানির হাটে তিনি পাঁচ-সাত লাখ টাকায় বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরও গরু মোটাতাজাকরণে সফল। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন অন্য পেশা ছেড়ে গরু মোটাতাজাকরণ কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
খামারি ছালাম আরো জানান, নিজস্ব অর্থায়নে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ভিটামিন কিংবা স্টেরোয়েড ছাড়াই লালন পালনকৃত এসব গরু ভালো দামে বিক্রির আশা করছেন। খামার পরিচালনায় প্রতিদিন নিজের শ্রমের পাশাপাশি মাসিক বেতনের দু’জন কর্মচারী রেখেছেন। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বড় পরিসরে খামার গড়ে স্থানীয়ভাবে বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে চান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: উজ্জ্বল হোসাইন জানান, গরু মোটাতাজাকরণে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম শুধু সফল খামারিই নন, তিনি অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী উদ্যোক্তাও বটে। তাই প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সর্বদাই তাকে প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায় এবারের কোরবানির হাটে তিনি উপযুক্ত দামে গরুগুলো বিক্রি করে লাভবান হবেন।