Naya Diganta

মায়ের জন্য ভোট চাইছেন রাজু

মায়ের জন্য ভোট চাইছেন ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ : নয়া দিগন্ত

বরিশাল শহরের বগুড়া রোড এলাকার তরুণ ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ। যিনি নগরীর মুন্সীগ্রেজ এলাকায় টিভিএস মোটরসাইকেল শোরুমের মালিক। বরিশাল শহরে বাড়ি-গাড়ি থাকলেও এবার সিটি করপোরেশনের ভোটে প্রতিদিন তিনি অটো চালিয়ে এবং মাইকিং করে নিজের মায়ের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন। তার মা বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা ৬নং আসনে (১৬, ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। মাকে বিজয়ী করার জন্য সব কাজকেই তিনি সাদরে গ্রহণ করছেন অহঙ্কারমুক্ত হয়ে। তা ছাড়া যে সকল পত্র-পত্রিকায় তার মায়ের সামাজিক কর্মকাণ্ডের খবর ও ছবি ছাপা হয়, তিনি সেসব পত্র-পত্রিকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে একজন হকারের মতোই বিলি করে থাকেন। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মতো তিনিও তার মায়ের মুখে বিজয়ের হাসি দেখতে চান।
রাজু আহমেদের মা মজিদা বোরহান বরিশাল সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সফল কাউন্সিলর। এবারো তিনি কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে জিপগাড়ি মার্কা নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন গণমানুষের সেবা করার জন্য। বিগত দিনে তিনি যখন কাউন্সিলর ছিলেন- তখনো তিনি মানুষের পাশে থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সাফল্যের সাথে। সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে তিনি সবসময় পাশে থেকেছেন, সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তার পরিবারের সকল সদস্যই উপকারী মন-মানসিকতায় বেড়ে উঠেছেন। ফলে মানুষের জন্য রয়েছে তাদের গভীর মমত্ববোধ। আর এ কারণেই রাজু আহমেদ তার মায়ের পক্ষে নিজেই অটো চালিয়ে মাইকিং করছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন এবং দ্বারে দ্বারে গিয়ে মায়ের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন। মায়ের জন্য এ ভালোবাসা আজকের সমাজে সত্যিই বিরল।
বিগত করোনাকালীন দুর্যোগের সময় রাজু আহমেদ ও তার ভাই জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন তাদের মায়ের পক্ষে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে। গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে মায়ের হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন সেবামূলক মন-মানসিকতা নিয়ে। তিনি তার মাকে যেমন ভালোবাসেন তেমনি ভালোবাসেন এলাকার সাধারণ মানুষকেও। মায়ের প্রতি রাজু আহমেদের এই ভালোবাসায় এলাকার সাধারণ মানুষও মুগ্ধ।
বরিশাল প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক আরিফিন তুষার নয়া দিগন্তকে বলেন, ব্যবসায়ী রাজু আহমেদকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ভালো মানুষ হিসেবে তিনি এবং তার পরিবারের যথেষ্ট সুনাম আছে। মায়ের প্রতি তার ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ- নিয়মিত অটোতে মাইক লাগিয়ে, নিজে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করা দৃশ্য দেখে আমার মতো অনেকেই বিস্মিত। মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থাকলেই কেবল এটা সম্ভব।
ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমার মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য- আমি সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমার মা মজিদা বোরহান আগেও সংরক্ষিত এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার বাস্তব প্রমাণ এই এলাকার মানুষরাই দিতে পারবেন। এবারো আমি দ্বারে দ্বারে গিয়ে মায়ের জন্য ভোট চাইছি। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আমরা বিজয়ী হবো।