Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

নি ত্যো প ন্যা স

চুয়াল্লিশ.
বাবা ভাইবারে অডিও কল দিয়েছে। তাহলে যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে বসে কথা বলা যাবে। অনিকের গলা পেয়েই বাবা ওপাশ থেকে বললেন, ‘কাজের চাপে পাগল অবস্থা। তোকে যে ফোন দেবো সেই ফুরসতটুকুও মিলছে না। অবশ্য এত অস্থির হওয়ার কিছু নেই। ওটা এক ধরনের খেলনাই বলতে পারিস। আল্ট্রামডার্ন প্লেটয়। ভবিষ্যতের খেলনা!’
অনিক একটু বিরক্ত হলেও চেপে গেল। আব্বু না আসায় আব্বুর উপরে এক ধরনের গোস্বা-ক্ষোভ ভেতরে ভেতরে জমে আছে। ‘ভবিষ্যতের খেলনা কি ভবিষ্যতেই চালাতে হবে? বর্তমানে কোনো কাজ করবে না?’
বাবা ওপাশে হাসলেন। ছেলের বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে বেশ শব্দ করেই হাসলেন। ‘হা হা হা। ভালোই বলেছিস! দেখা যাক, বর্তমানে কাজ করে কি না? আগে শোন, ওইটা আমাদের এখানের একজন সাইনটিস্ট নিজের আগ্রহে বানিয়েছে। পেটেন্ট এখনো তার নামে। মার্কেটে ছাড়েনি। আমি বন্ধু মানুষ বলে আমাকে এক পিস দিয়েছে এবং জানিয়েছে, ওটা একবার নষ্ট হলে সে ছাড়া আর কেউ ঠিক করতে পারবে না। কাজেই তাড়াহুড়োয় উল্টোপাল্টা কিছু করে ফেললে সাবধান!’
‘ঠিক আছে, আব্বু, আমি সাবধানই আছি। সেজন্য নিজে কিছুই সেট করার চেষ্টা করিনি। কিন্তু ওটার কি কাজ আব্বু? (চলবে)