Naya Diganta

পাংশায় ভাঙা সেতুতে চলাচল

পাংশার নটাভাঙা খালের ওপর সংযোগ সেতুর অবস্থা : নয়া দিগন্ত


রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের নটাভাঙ্গা খালের ওপরের সংযোগ সেতুটির বেহাল দশা। সেতুর মাঝে বিভিন্ন জায়গায় রড বের হয়ে যাওয়ায় ওপর থেকে খালের পানি দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ। সেতুর এমন দশার কারণে দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যোগাযোগের একরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। তারা আরো জানান, দীর্ঘদিনেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কার না করায় সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জানা যায়, ওপারে নটাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটাভাঙ্গা এবতেদায়ী মাদরাসাসা, শান্তিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সলুয়া এবতেদায়ী মাদরাসা ও সলুয়া উত্তরপাড়া নাদুরিয়া হাই স্কুলে যেতে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপার হতে হয়। জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান (কামরুল) বলেন, সেতুটি সংস্কারে কেউই উদ্যোগ নিচ্ছে না। যার ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু পার হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

কসবামাজাইল ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ জানান, নটাভাঙ্গা খালের ওপর জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ২৫-৩০ বছর আগের। দীর্ঘদিন আগেই এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল ও একটি কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ প্রতিদিন চার-পাঁচ হাজার লোক চলাচল করে। উপজেলা শহরে যেতে হলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। বৃহৎ এ অঞ্চলের কয়েক শে’ হেক্টর জমির ফসল এ সেতুর ওপর দিয়ে আনা নেয়া হয়। এক বছর আগে বিশেষ বরাদ্দ চেয়ে এলজিইডিতে আবেদন করেছি। এখনো কোনো সুফল মেলেনি।
পাংশা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ওপর মহলের সাথে কথা বলতে হবে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নতুন করে সেতু করা সম্ভব নয়, তবে সংস্কার করা হবে।
রাজবাড়ী এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ওইখানে নতুন সেতু- কালভাট করার সুযোগ আছে। নতুন ডিপিপির তালিকা হচ্ছে, সেখানে ওই সেতুর নাম প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে।