Naya Diganta

মার্কিন কংগ্রেসে ঋণসীমা বিল পাস

ঋণসীমা বাড়ানোর বিল পাস হলো মার্কিন কংগ্রেসে। এর মাধ্যমে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলো বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির রাষ্ট্রটি। নিম্নকক্ষে পাসের পরের দিনই বৃহস্পতিবার রাতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা সিনেটে ৬৩ ভোট পেয়ে বিলটি পাস হয়। বিপরীতে ভোট ছিল ৩৬টি। বিলটিতে ১১টি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সিনেট সদস্যরা। তবে এর কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি। ১০০ সদস্যের সিনেটে বিল পাস হতে প্রয়োজন ছিল ৬০টি ভোট। বিলটির পক্ষে ডেমোক্র্যাট দলের ৪৪ জন, ১৭ জন রিপাবলিকান ও স্বাধীনভাবে ভোট দিয়েছেন দুইজন সদস্য।

এখন বিলটিতে শুধু প্রেসিডেন্টের সই করা বাকি। যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে এই ঋণের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। বিলটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষর করার পর আইনে পরিণত হবে। অর্থনীতির সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা দূর হবে। বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক স্কামার সিনেটে বলেন, ‘বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ায় এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাবে।’ ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণসীমা স্থগিত থাকবে। আগামী দুই বছরের বাজেটে ব্যয় কমানো, কোভিড তহবিলে থাকা অব্যবহৃত অর্থ অন্য খাতে ব্যবহার, জ্বালানি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং দরিদ্রদের জন্য খাদ্যসহায়তার বিষয়ে বলা হয়েছে বিলটিতে। ফেডারেল সরকারের ঋণসীমা বাড়াতে ২৭ মে সন্ধ্যায় অস্থায়ী চুক্তির মাধ্যমে বিল তৈরি করেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের দুই নেতা জো বাইডেন ও কেভিন ম্যাকার্থি।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের বাজেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিলটির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় কমবে প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। বিলটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের সুদ প্রায় ১৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার কমবে।