Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

নি ত্যো প ন্যা স

বিয়াল্লিশ.
বড় চাচীর চোখে মুখে যে ভয়ের ভাব তাতে মনে হচ্ছে তিনি সত্যি সত্যিই মৃত মেয়েটিকে বা মেয়েটির আত্মাকে দেখেন।
অনিকের মনে একটা খটকা লাগল। বড় চাচী যদি সত্যি সত্যিই মেয়েটির ভূত আগে থেকেই দেখেন তাহলে এর প্রতিকার নেন না কেন? ছাদ আটকে রাখা কেন? ভূত তাড়ানোর অনেক কিছুই তো আছে। আছে ভূতের ওঝা, হুজুর ডেকে বাড়ি বন্ধন দেয়া, আরো কত কি! সে গল্পের বইয়ে পড়েছে। তাহলে কি সুমির মৃত্যুর মধ্যে কোনো রহস্য আছে? সে জন্যই বড় চাচী ব্যাপারটা এড়িয়ে চলতে চান?
বড় চাচী অনিকের একটা হাত আকড়ে ধরলেন। ফিসফিস করে বললেন, ছাদে ভূত দেখতে পাস আর কাউকে বলেছিস নাকি? তোর মাকে? তোর মেজো চাচা-চাচীকে?
অনিক দু’দিকে মাথা নাড়ল। যখন বুঝল শুধু মাথা নাড়ায় কাজ হবে না তখন মুখে বলল, ‘না চাচী। আমি দেখেছি শুধু কালকে রাত্রে। এর মধ্যে কাউকে বলার সময় পেলাম কোথায়?
বড় চাচী হাত না ছেড়ে দিয়ে আগের মতোই ফিসফিস করে বললেন, ‘কাউকে বলার দরকার নেই। আর রাত বিরাতে ছাদে ওঠারও দরকার নেই। ওই ভূতটা যাতে নিচে নেমে আসতে না পারে সে জন্য এখন থেকে রাতে ছাদে তালা দিয়ে রাখব।’ তার পর বড় চাচী অনিককে টানতে টানতে পাঁচতলায় নিজেদের ফ্লাটের সামনে নিয়ে গেলেন।
(চলবে)