Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

ছায়া-মানুষ

নি ত্যো প ন্যা স

চল্লিশ.
রাতের বেলা হলে যে ভয়টা পেত ততটা ভয় পেল না অনিক। তবে তার মনে হচ্ছে কাল রাতে ওইজা বোর্ড দিয়ে আত্মা নামানোর পর থেকেই তার কেবল মনে হচ্ছে কেউ একজন ঘুর ঘুর করছে। অনিক ভয়ে ভয়ে পেছন দিকে তাকাল এবং তাকিয়েই শুকোতে দেওয়া কাপড়ের আড়াল থেকে একজন মেয়ে মানুষের অবয়ব এবং তার ফর্সা জোড়া খালি পা দেখতে পেল। ভূতের পায়ের পাতা উল্টো থাকে, গল্পের বইয়ে পড়েছে। কিন্তু এই পায়ের পাতা ঠিকঠাকই আছে। তখনই ভূতের গলা নয়, অনিক বড় চাচীর রাগী গলা শুনতে পেল। ‘তুই মেয়ে মানুষের কাপড় চোপড়ের মধ্যে ঢুকে ওখানে উঠে কি করছিস?’
কী উত্তর দেবে অনিকের কিছুই মাথায় আসছিল না। সে তোতলাতে তোতলাতে কোনোমতে বলল, ‘চাচী, এখানে উঁচুতে উঠে একটা জিনিস পরীক্ষা করছিলাম।’
‘কী পরীক্ষা?’ চাচীর গলার ঝাঁঝ তখনো যায়নি। এমনিতে এই বাড়িতে সবচেয়ে রাগী দুজন মানুষই হলো বড় চাচা-চাচী।
‘বাবা একটা অ্যাপস পাঠিয়েছে। মোবাইল অ্যাপস। ওটা দিয়ে আতশ কাচের মতো রোদ এক জায়গায় জড়ো করা যায়। সেটা হয় কিনা তাই দেখছিলাম। পানির ট্যাংকির উপর সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে।’
অনিক জানে বড় চাচী এসব বৈজ্ঞানিক জিনিসপত্র কিছুই বোঝেন না।
(চলবে)